Tangra Incident: পায়েসে বিষ, তারপরেও কেন হাতের শিরা কাটা? ট্যাংরা-কাণ্ডে পদে পদে রহস্য

ঠিক কী হয়েছে? এটা কি আত্মহত্যার চেষ্টা? নাকি পিছনে লুকিয়ে অন্য কোনও উদ্দেশ্য? নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কলকাতা পুলিশ সবদিকটাই খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। রহস্য ঘনীভূত হয়েছে বিষ পায়েসকে ঘিরে।

Advertisement
পায়েসে বিষ, তারপরেও কেন হাতের শিরা কাটা? ট্যাংরা-কাণ্ডে পদে পদে রহস্যপায়েসে বিষ, তারপরেও কেন হাতের শিরা কাটা? ট্যাংরা-কাণ্ডে পদে পদে রহস্য
হাইলাইটস
  • হাসপাতালে ভর্তি আহত তিনজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে
  • কলকাতা পুলিশ সব দিক থেকেই এই ঘটনার তদন্ত করছে

ঠিক কী হয়েছে? এটা কি আত্মহত্যার চেষ্টা? নাকি পিছনে লুকিয়ে অন্য কোনও উদ্দেশ্য? নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কলকাতা পুলিশ সবদিকটাই খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। রহস্য ঘনীভূত হয়েছে বিষ পায়েসকে ঘিরে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির সদস্যেরা ঘুমের ওষুধ পায়েসের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে সবাই বিষ পায়েস স্বেচ্ছায় খেয়েছিলেন কি না, নাকি জোর করে খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল? পায়েসে কাজ না হওয়াতেই হাতের শিরা কেটে নিজেরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কি না, নাকি কেউ শিরা কেটে দিয়েছিল? এসবই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

এছাড়াও, মৃত কিশোরীর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তার ঠোঁট ও নাকের নীচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ময়নাতদন্তে। অপর দুই মহিলার হাতের শিরা কাটা ছিল। তবে তাঁদের গলাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আর তাতেই ট্যংরার ঘটনায় বড় কিছু রহস্য রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বুধবার সকালে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। গাড়ি মেট্রোর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় প্রণয় দে, তাঁর ভাই প্রসূন ও ১৬ বছরের এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ এই আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে ওঠে। প্রণয় দে পুলিশকে জানিয়েছেন যে এটি কেবল একটি দুর্ঘটনা নয় বরং একটি পূর্বপরিকল্পিত আত্মহত্যার চেষ্টা। তবে এরপর যা প্রকাশ পেয়েছে তা পুলিশকে অবাক করেছে। প্রণয় জানান, ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে আরও তিনজন আত্মহত্যা করেছেন। এরপরেই ট্যাংরার অতুল শূর রোড এলাকায় দে পরিবারের বাড়ি থেকে দুই মহিলা এবং এক কিশোরীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের নাম রোমি দে, সুদেষ্ণা দে এবং প্রিয়ম্বদা দে।

প্রণয়ের কথা শুনেই পুলিশ তৎক্ষণাৎ ট্যাংরায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছায়। পুলিশ সেখানে গেলে দেখা যায় মেন গেটে তালা ঝুলছে। এরপর গেট ভেঙে পুলিশ ভিতরে ঢুকে হতবাক হয়ে যায়। ঘরের ভেতরে তিন মহিলার দেহ পড়ে ছিল। তিনজনের মৃত্যু একজন প্রণয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণা, অপরজন প্রসূনের স্ত্রী রোমি। পুরো বাড়ি রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। যা বিষয়টিকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছিল। কলকাতা পুলিশের মতে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বা খুনের হতে পারে। আপাতত, এটি পারিবারিক আত্মহত্যা নাকি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি আহত তিনজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সব দিক থেকেই এই ঘটনার তদন্ত করছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement