সম্প্রতি উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছেন বিধায়ক তাপস রায় ৷ বিজেপি নেতার বাড়িতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়াণ নেতা। এই বিতর্কে দলের আরেক সংসদ সৌগত রায়ও সুদী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াননি। দাদা বিজেপি করেন বলে তিনি তাঁর বাড়িতে যান না, এমন মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এই প্রসঙ্গে সুচারু মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে মদনকে।
মদন মিত্রের বক্তব্য
দু’দিন আগেই উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের বাড়িতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যআয়ের যাওয়া নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তাপস রায়। এনিয়ে মদন মিত্রের বক্তব্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষীয়াণ রাজনীতিক। তবে কোথাও যেতে হলে দলকে জানিয়ে যাওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে নিজের কথাও টানেন কামারহাটির বিধায়ক। জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার আগে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাছাড়া শোভন নিজেও নবান্নে যান। আর এই কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দুর নামও শোনা গিয়েছে মদন গলায়। মদন মিত্রের বক্তব্য, "শুভন্দু আমার ছোট ভাইয়ের মত, কতবার নেমন্তন্ন খেয়েছি ওর বাড়িতে। শুভেন্দুর বাবা চিংড়ি, ইলিশ খাইয়েছেন। কিন্তু আমি যদি না জানিয়ে যাই সেটা কি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাল লাগবে?"
মদন মিত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, দলকে না জানিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেড়ে উত্তর কলকাতায় বিজেপির সভাপতি হয়েছেন তমোঘ্ন ঘোষ। এই নিয়েই শুরু হয়েছে জলঘোলা। এই ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তৃণমূল বিধায়কের কথায়, "তমোঘ্নকে তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের সভাপতি করতে মমতার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তমোঘ্ন ও তাঁর বাবা তপন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তমোঘ্নর বাড়ির দুর্গাপুজোয় গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গা পুজোয় সেদিন হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কল্যাণ চৌবেও।'