লেখিকা তসলিমা নাসরিন ও কবির সুমনের মধ্যে দ্বৈরথ চলছেই। সম্প্রতি কবির সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনি। বলেন, যে ৭৫ বছর বয়সেও তিনি বিছানায় সমান সক্ষম। সুমনের এই মন্তন্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসে। তসলিমা নাসরিনের মতো লেখিকাও এর নিন্দা করেন। সুমনকে ভণ্ড বলেও আক্রমণ করেন তিনি। এবার নাম না করে সুমনকে আক্রমণ করলেন লেখিকা।
শনিবার ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'একজন অশীতিপর বৃদ্ধও তুড়ি বাজিয়ে বলতে পারেন, আমার যৌনক্ষমতা বেশ আছে, আমি খুবই যৌনসক্ষম। লোকে এতে অবাক হয় না। আজকাল অবাক হওয়ার কিছু নেই অবশ্য। ভায়াগ্রা জাতীয় যৌনউত্তেজক বড়ি পুরুষের যৌনক্ষমতা যে কোনও বয়সেই বাড়িয়ে দিতে পারে।'
আরও পড়ুন : ফ্ল্যাটে প্রতিবেশীর 'শান্তিভঙ্গ' করেন দেব? মেয়র বললেন...
একজন অশীতিপর বৃদ্ধা যদি তুড়ি বাজিয়ে বলেন, 'আমার যৌনক্ষমতা বেশ আছে, আমি খুবই যৌনসক্ষম, তাহলে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজে কী কাণ্ড হবে ভাবলে গা শিউরে ওঠে। যদিও এ খুবই স্বাভাবিক যে, যৌনক্ষমতা কমে গেলেও ভ্যাজাইনাল লুব্রিকেন্ট জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করলেই বৃদ্ধা চমৎকার যৌনজীবন যাপন করতে পারেন। তারপরও কিন্তু আত্মীয়স্বজন , পাড়া-পড়শি , বন্ধু বান্ধব সবাই তাঁকে ছিঃছিঃ করবে, এমনকী তাঁকে একঘরে করবে।'
তসলিমা আরও লেখেন, 'বেশি-বয়সী পুরুষের যৌনক্ষমতা থাকা গর্বের ব্যাপার, আর বেশি-বয়সী নারীর যৌনক্ষমতা থাকা লজ্জার ব্যাপার। এই বৈষম্য যতদিন টিকে থাকবে ততদিন নারী-স্বাধীনতা দরজা-জানলার জন্য অপেক্ষা করবে না, ঘুলঘুলি পেলেই পালাবে।'
তসলিমা নাসরিন এর আগের পোস্টে সুমনের মনোভাব ও মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। লিখেছিলেন, 'এই সুমনকে আমি 'মুসলমান সুমন' বলি না, এই সুমনকে আমি 'হিপোক্রেট সুমন' বলি। আমি বিশ্বাস করি না এই সুমন আল্লাহ রসুল নামাজ রোজায় বিশ্বাস করেন। এই সুমন স্বার্থের জন্য যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। যদি দেখেন আঘোরি বা নাঙ্গা সন্ন্যাসী সাজলে কিছু ফায়দা হবে, বা লোককে বোকা বানিয়ে মজা লোটা যাবে, তিনি তাই করবেন।'
এমনকী তিনি তাঁর প্রতিভা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি বলেছিলেন, 'আমার আজ মনে হয়, যে অসাধারণ গানগুলো তিনি লিখেছিলেন, গেয়েছিলেন, সেই গানের কথাগুলো তিনি তখনও বিশ্বাস করতেন না, এখনও বিশ্বাস করেন না। গানের ক্ষেত্রে যেমন তাঁর প্রতিভার তুলনা হয় না, ভণ্ডামোর ক্ষেত্রেও তাঁর প্রতিভার তুলনা হয় না।'