বিমানবন্দরের অভিজাত পরিবেশ মানেই চড়া দামের খাবারদাবার। সামান্য এক কাপ চায়ের জন্য যেখানে গুনতে হয় ২০০-৩০০ টাকা, সেখানে মাত্র ১০ টাকায় চা পাওয়া নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দেশের প্রথম 'উড়ান যাত্রী ক্যাফে' চালু হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে, যা ইতোমধ্যে যাত্রীদের মধ্যে প্রশংসা অর্জন করেছে।
রাঘব চাড্ডার উদ্যোগ এবং প্রস্তাব
আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা সম্প্রতি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিমানবন্দরের চড়া দামের খাবার নিয়ে সরব হন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এক বোতল জলের জন্য ১০০ টাকা, এক কাপ চায়ের জন্য ২০০-৩০০ টাকা কেন গুনতে হবে সাধারণ মানুষকে? সরকার কি সাধ্যের মধ্যে খাবারদাবার সরবরাহের জন্য কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না?” এর পাশাপাশি, তিনি বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা, যাত্রী পরিষেবার অভাব, এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর সমস্যাও তুলে ধরেন।
Glad to see the change brewing! After I highlighted the issue of food affordability at airports during this Winter Session of Parliament, tea prices at Kolkata Airport have been reduced. This is a win for us citizens, and I take pride in being the catalyst for this change. Hope… https://t.co/8k7RnKBvzU pic.twitter.com/hi3iMng46J
আরও পড়ুন
— Raghav Chadha (@raghav_chadha) December 22, 2024
এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পর, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক সমস্যাটির গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’-র উদ্যোগ নেয়।
উড়ান যাত্রী ক্যাফে: একটি নতুন সূচনা
পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ চালু হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। এখানে মাত্র ১০ টাকায় এক কাপ চা এবং কম দামে জল ও স্ন্যাকস পাওয়া যাবে। সাফল্য পেলে এটি দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরেও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অসামরিক বিমান মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানান, “কলকাতা বিমানবন্দরে প্রথম ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে যাত্রীরা সাধ্যের মধ্যে খাবার ও পানীয় পাবেন। এর সাফল্য মূল্যায়ন করার পর অন্যান্য বিমানবন্দরেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
রাঘব চাড্ডার প্রতিক্রিয়া
এই উদ্যোগের সাফল্যে খুশি হয়ে রাঘব চাড্ডা তার এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, “শীতকালীন অধিবেশনে আমি এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। কলকাতা বিমানবন্দরে ১০ টাকায় চা পাওয়া যাচ্ছে, এটা দেখে ভালো লাগছে। আশা করি, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের উদ্যোগ দেখা যাবে।” তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পরামর্শও চেয়েছেন, পরবর্তী অধিবেশনে আর কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করা যেতে পারে।
অর্থনৈতিক ভারসাম্যের দিকটি
বিমানবন্দরের মতো জায়গায় সাধ্যের মধ্যে খাবার পাওয়া এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। সাধারণত বিমানবন্দরের খাবারদাবারের চড়া দাম যাত্রীদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ সেই সমস্যার সমাধান এনে দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই উদ্যোগের সাফল্যের উপর নির্ভর করে অন্যান্য বিমানবন্দরে এই পরিষেবা চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। অসামরিক বিমান মন্ত্রক এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সাফল্যের দিকগুলি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে।