Primary TET : এবার প্রাইমারি TET, বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

২০১৭-র যে টেট পরীক্ষার 'ভুল' প্রশ্নপত্র ইস্যুতে বুধবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েন।

Advertisement
এবার প্রাইমারি TET, বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের টেট
হাইলাইটস
  • ২০১৭-র যে টেট পরীক্ষার 'ভুল' প্রশ্নপত্র ইস্যুতে বুধবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে
  • সেই মামলাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েন।

২০১৭-র TET নিয়ে বড় খবর। সেই বছর যে টেট হয়েছিল সেই প্রশ্নপত্রে ২১ টি ভুল ছিল বলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগকারীদের দাবি মতো এবার, হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন। অভিযোগকারীরা দাবি করেছিলেন, যদি ২১ টি প্রশ্নই ভুল হয় তাহলে পরীক্ষার্থীদের তার নম্বর দেওয়া উচিত। সেই দাবি মতো প্রশ্নগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। 

২০১৭-র যে টেট পরীক্ষার 'ভুল' প্রশ্নপত্র ইস্যুতে বুধবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েন। সেই কমিটি সব খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে হাইকোর্টে। মূলত বাংলা, পরিবেশবিদ্যা সহ মোট তিনটি বিষয় রয়েছে। এই প্রশ্নভুলগুলো আগে চিহ্নিত করা হবে। তারপর পরীক্ষার্থীদের উত্তর মিলিয়ে নেওয়া হবে। পর্ষদ যে প্রশ্ন তৈরি করেছিল, তার উত্তর ও বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা উত্তরের কতটা মিল বা অমিল তা দেখা হবে। 

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ,বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে। সেই কমিটির যে উত্তর তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আগামী এক মাসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলাটি ফের উঠবে কোর্টে। 

প্রসঙ্গত, এই মামলা অনেকদিন ধরেই চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে বিচারপতি মান্থা প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে কি প্রশ্নপত্র পরীক্ষা করবে? 

প্রসঙ্গত, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন দিতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৮১ পৃষ্ঠার রায় পড়ে শোনান বিচারপতি বসাক। 
 

POST A COMMENT
Advertisement