রাজ্যে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। এবার দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে শিল্পী শুভাপ্রসন্নর (Shuvaprasanna) মন্তব্যকে ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। পাল্টা শিল্পীকে নিশানা করলেন মদন মিত্র। জবাব দিলেন শিল্পীও। এদিকে এরই মাঝে শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটি প্রদর্শনের ওপরে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এর প্রেক্ষিতে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন সংবাদমাধ্যমকে কার্যত বলেন, এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অহেতুক বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভাপ্রসন্ন বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক সুবিধা দেবে না, বরং নিষিদ্ধ করে ছবিটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হল। সেন্সর বোর্ড যখন ছাড় দিয়েছে, তখন প্রদর্শনে বাধা কোথায়'? তিনি আরও বলেন, 'হিটলারি একটা শাসন। এটা তো বজরং দলের কাজ। মমতা নিজে শিল্পী, যা করেছে, সেটা অন্যায়'।
এরপরেই মদন মিত্রের (Madan Mitra) নিশানায় পড়েন শুভাপ্রসন্ন। মদন সংবাদমাধ্য়মে বলেন, 'কে শুভাপ্রসন্ন? খায় না, মাথায় দেয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু'দিন ওর বাড়িতে পায়ের ধুলো দিয়েছিল বলে শুভাপ্রসন্ন, শুভাপ্রসন্ন হয়েছে। শুভাপ্রসন্নর কাছ থেকে জ্ঞান শুনবো না। যখন যেমন, তখন তেমন। আপনি যাকে স্তাবকতা বলছেন, সেই স্তাবকতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি তো উপাচার্য। স্তাবকতা তো আপনিই শুরু করেছেন! আমি তো সাক্ষী'! এমনকী শুভাপ্রসন্নকে কিছুদিন 'চুপ' থাকার পরামর্শও দেন মদন মিত্র। যদিও পাল্টা দিতে ছাড়েননি শিল্পীও। তিনি বলেন, 'ও তো কীট (মদন মিত্র)। ভবানীপুরে দালালি করত। আমরাই রাস্তায় ছিলাম, থাকব'।
এদিকে এরই মাঝে আসরে কুণাল ঘোষ। প্রথমে ফোনালাপ ও পরে সরাসরি শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে যান কুণাল। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'আমায় সকালে শুভাদা ফোন করেছিলেন। তখন আমি বলি, যাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে, আপনি তাঁদের মধ্যে। তা হলে রাজ্য সরকারের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ভাবে বাইরে মুখ খুলছেন কেন'? যদিও সেই ফোনালাপের পরেও নিজের অবস্থান বদলাননি শিল্পী। এরপরেই শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে যান তৃণমূল মুখপাত্র। যদিও প্রকাশ্যে অবশ্য এটিকে নিছক সৌজন্য বললেও রাজনৈতিকমহল মনে করছে, তৃণমূলের তরফে হয়তো শিল্পীকে কোনও বার্তাই দিলেন কুণাল ঘোষ।