শীতের মুখেও চুপিসারে বাড়ছে রাজ্যে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯,৯১৭-তে।
মুর্শিদাবাদ শীর্ষে, কলকাতায় স্বস্তি:
আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই সীমান্তবর্তী জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশি। দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলির তুলনায় মুর্শিদাবাদে সংক্রমণের মাত্রা দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি বছর উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গু প্রভাব যে উদ্বেগ তৈরি করত, এবার সেই জায়গায় মুর্শিদাবাদ এগিয়ে গেছে। 'বর্তমান' সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যদিকে, কলকাতায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। প্রথম পাঁচ ডেঙ্গু-প্রবণ জেলার তালিকায় কলকাতার নাম নেই। এটি যেমন স্বস্তিদায়ক, তেমনি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে গবেষণার বিষয়। কলকাতার কম সংক্রমণের কারণ হতে পারে উন্নত স্যানিটেশন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ।
ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সিজনের শেষ দিকে এসে আরও বিপজ্জনক হতে পারে। মশাবাহিত এই রোগে প্রাথমিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেমন জল জমা বন্ধ করা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি, তেমনই আক্রান্ত এলাকাগুলিতে আরও সচেতনতা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যভবনের দাবি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যজুড়ে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, মুর্শিদাবাদের মতো উচ্চ সংক্রমণপ্রবণ এলাকাগুলিতে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়োজন।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি রাজ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ। রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিতে দ্রুত পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।