Partho Chatterjee Ring Scandal: পার্থের হাতে আংটি! প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

Partho Chatterjee Ring Scandal: সরকারি আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু জানিয়েছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই ডিআইজি কারার তরফে প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।" গত ২৭ জুন হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কারেকশনাল সার্ভিস অ্যাক্টের ৮৩ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’’

Advertisement
পার্থের হাতে আংটি! প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরপার্থের হাতে আংটি! প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
হাইলাইটস
  • পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটি কাণ্ডের জের
  • প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
  • কারা দফতরের তরফে অভিযোগ দায়ের

Partho Chatterjee Ring Scandal: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে ডিআইজি কারার তরফে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হল। জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হল কারা দফতরের তরফে। মূলত জেলে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারই ভিত্তিতে এই অভিযোগ দায়ের। আদালতের নির্দেশের পর কারা কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসকের বয়ান নেওয়া হয়। তারপরই জেল সুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু জানিয়েছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই ডিআইজি কারার তরফে প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।" গত ২৭ জুন হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কারেকশনাল সার্ভিস অ্যাক্টের ৮৩ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’’

 
 

কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এই দাবি?

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি রয়েছেন প্রায় ১ বছর হল। বিতর্ক বাধে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত পার্থবাবু জেলা আংটি পরে ছিলেন। তা নিয়েই নিয়মভঙ্গের প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ উঠেছিল, নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ৯ মাস ধরে জেলের মধ্যে হাতে আংটি পরে ছিলেন তিনি। আদালতে এই নিয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির আইনজীবী জানান, ‘জেল কোড’ অনুসারে সংশোধনাগারে কোনও অলঙ্কার পরা যায় না। কিন্তু পার্থবাবু সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তবে পরে সেই আংটি খুলে ফেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কেউ তাঁকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। তাই পরেছিলেন। স্বাস্থ্যের কারণেই ওই আংটি তিনি পরতেন।

তারই প্রেক্ষিতে জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী ডেকে পাঠিয়েছিল আদালত। আদালতে সুপার জানিয়েছিলেন, পার্থবাবুর আঙুল ফুলে থাকার কারণে তাঁর আংটি খোলা যায়নি। জেল সুপারের জবাবে অসন্তুষ্ট হন বিচারক। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিয়ে জেলসুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। শনিবার পার্থবাবুর জামিনের শুনানি ছিল। কিন্তু পার্থের আইনজীবী আদালতে সময় চাওয়ায় শুনানি হয়নি। ২০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement