scorecardresearch
 

RG Kar Doctor Diary: মৃত্যুর আগে ডায়েরিতে ঠিক কী লিখেছিলেন আরজি কর-এর তরুণী ডাক্তার? এল প্রকাশ্যে

মৃত্যুর আগে ডায়েরির পাতায় ঠিক কী লিখেছিলেন আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে মৃত তরুণী ডাক্তার? নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন মেয়ে। সেটা জানতেন বাবা-মা। এমনকী ওই তরুণী চিকিৎসক যে দিন খুন, ধর্ষণের শিকার হন, সেই ক্রাইম সিন থেকে উদ্ধারও হয় একটি ডায়েরি। তবে ডায়েরির কিছু পাতা ছেঁড়া ছিল। যা লেখা ছিল, তার সারমর্ম হল, মৃত চিকিৎসক ‘সুখে’ থাকতে চেয়েছিলেন।

Advertisement
নির্যাতিতার সেই ডায়েরি (গ্রাফিক- শুভঙ্কর মিত্র) নির্যাতিতার সেই ডায়েরি (গ্রাফিক- শুভঙ্কর মিত্র)

মৃত্যুর আগে ডায়েরির পাতায় ঠিক কী লিখেছিলেন আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে মৃত তরুণী ডাক্তার? নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন মেয়ে। সেটা জানতেন বাবা-মা। এমনকী ওই তরুণী চিকিৎসক যে দিন খুন, ধর্ষণের শিকার হন, সেই ক্রাইম সিন থেকে উদ্ধারও হয় একটি ডায়েরি। তবে ডায়েরির কিছু পাতা ছেঁড়া ছিল। যা লেখা ছিল, তার সারমর্ম হল, মৃত চিকিৎসক ‘সুখে’ থাকতে চেয়েছিলেন।

সিবিআই (CBI) সেই ডায়েরি নিয়ে গিয়েছে পরিবারের সসদ্যদের কাছ থেকে। সেই ডায়েরির লেখার সঙ্গে তরুনীর হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সেই ডায়েরিতে লেখা সবটাই তাঁর নিজের। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘ওঁর লক্ষ্য ছিল, এমডিতে গোল্ড মেডেল পেতেই হবে। সে কথা লেখা ছিল। কখন কী পড়বে, সব লেখা থাকত ডায়েরিতে।’ পাশাপাশি অন্য নানা বিষয়ে নিজের লক্ষ্যের কথাও নিয়মিত লিখতেন এই তরুণী চিকিৎসক। নির্যাতিতার মা দাবি করে বলেন, ‘জানতে পেরেছি, মেয়ের দেহ যে ভাবে আমাদের দেখানো হয়েছে, সে ভাবে ছিল না। দেহে জামাকাপড় ছিল না, এটা আমরা জানতে পেরেছি। সিবিআইকে সব বলব। আমাদের মনে হচ্ছে, আমাদের আড়াল করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে।’

তবে ছেঁড়া পাতায় ঠিক কী লেখা ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, মৃত্যুর আগে মহিলা ডাক্তার তাঁর লক্ষ্যের একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন। ছিঁড়ে যাওয়া ডায়েরির পাতায় উল্লেখ ছিল যে, তিনি বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক এবং নামী হাসপাতালে প্র্যাকটিস করতে চান। তালিকায় কলকাতা ও ব্যারাকপুরের কয়েকটি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, তাঁর চেম্বারের তালিকা ছাড়াও তিনি লিখেছেন যে তিনি ভবিষ্যতে মেডিকেলে স্বর্ণপদক জিততে চান। আর সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভাল পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। সূত্র অনুসারে, পৃষ্ঠার শেষে, ডাক্তার তাঁর বাবা-মায়ের সুস্থতার জন্য কী পরিকল্পনা করছেন সে সম্পর্কে লিখেছেন, তিনি তাদের খুশি এবং হাসিখুশি রাখার লক্ষ্যের কথাও লিখেছেন। সূত্রটি বলছে, সম্ভবত তিনি ঘুমিয়ে পড়ার ঠিক আগে ওই সব বাক্য লিখেছিলেন। 

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisement