SSC Exam: SSC পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না দাগি অযোগ্যরা, রায় বহালই থাকল হাইকোর্টে

এসএসসি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকাররে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি-র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না চিহ্নিত দাগিরা। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও চিহ্নিত অযোগ্য অংশ নিতে পারবেন না। যদি ইতিমধ্যেই কেউ আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাঁদের আবেদন বাতিল করা হবে।

Advertisement
SSC পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না দাগি অযোগ্যরা, রায় বহালই থাকল হাইকোর্টেSSC পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না দাগি অযোগ্যরা, রায় বহালই থাকল হাইকোর্টে
হাইলাইটস
  • নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও চিহ্নিত অযোগ্য অংশ নিতে পারবেন না
  • আবেদন করে থাকলে বাতিল বলে গণ্য হবে

এসএসসি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকাররে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি-র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না চিহ্নিত অযোগ্য়রা। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও চিহ্নিত অযোগ্য অংশ নিতে পারবেন না। যদি ইতিমধ্যেই কেউ আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাঁর আবেদন বাতিল করা হবে।

এসএসসি পরীক্ষার নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত অযোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে মামলা হয়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একযোগে মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় চিহ্নিত অযোগ্যদের আবেদন করা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কতবার তাঁরা ফল ভুগবে, সাজা পাবে?' বিচারপতি উত্তরে বলেন, 'তাঁরা প্রতারণা করে চাকরি পেয়েছে তাই তাঁরা বাদ যাবে।' হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয় যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যাঁরা টেন্টেড বা দাগি বলে চিহ্নিত, তাঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র নয়া নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না। যদি কোনও দাগি অযোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই যদি আবেদন করে থাকেন, সেই আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে। হাইকোর্ট স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য় সরকার ও এসএসসি।  বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের সেই বেঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি ও সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, এসএসসি কেন দাগিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে?

জবাব দিতে গিয়ে এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন নিয়োগে কারা যোগ দিতে পারবেন আর কারা পারবেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। প্যানেল-বহির্ভূত, মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে, সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের দাগি বলে চিহ্নিত করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছে। তার বাইরে আর কাউকে দাগি বলে চিহ্নিত করা যায়নি। কারা নতুন নিয়োগে যোগ দিতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, তা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে চাইছে এসএসসি। সেই কারণেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত শুনানিতে বলেন, দাগি অযোগ্যদের নতুন নিয়োগে অংশ নিতে না দিলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। এছাড়াও, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না, এমন কোনও নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি। সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে সকলের সমান অধিকার। ফলে ওই দাগি অযোগ্যদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে না দিলে মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার সমান হবে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, দাগি অযোগ্যেরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। ইতিমধ্যে এরকম যারা আবেদন জমা দিয়েছেন, তা বাতিল বলে গণ্য করতে হবে।

POST A COMMENT
Advertisement