Mamata Banerjee: সিপিএমকে বুড়িছোঁয়া আক্রমণ, বর্ষামুখর একুশে মমতা হলেন 'ইন্ডিয়া'র নেত্রী

এ দিন মমতার ভাষণের ছত্রে ছত্রে বিজেপিকে নিশানা করেছেন।  মণিপুর, একশো দিনের কাজ ও ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। মানুষ মারার সওদাগর বলে আক্রণ করেছেন। মণিপুরের সঙ্গে বাংলার হিংসাকে একবন্ধনীতে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সমালোচনা করেছেন মমতা।

Advertisement
সিপিএমকে বুড়িছোঁয়া আক্রমণ, বর্ষামুখর একুশে মমতা হলেন 'ইন্ডিয়া'র নেত্রী Mamata Banerjee। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
  • একুশের মঞ্চে সিপিএমকে নামমাত্র আক্রমণ মমতার।
  • দিলেন মোদীকে হঠানোর ডাক।

২১ জুলাই শহিদ দিবস। ১৯৯৩ সালের তৎকালীন সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকারের পুলিশ গুলি চালিয়েছিল কংগ্রেস কর্মীদের উপর। সেই মঞ্চেই সিপিএমকে ছাড় দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলার বলতে, ২০০৩ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের আমলে পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের সংখ্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এটুকু বাদে গোটা ভাষণেই বিজেপিকে নিশানা করে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস নিয়েও একটি কথা বললেন না। স্বাভাবিকভাবেই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ঐক্যের যে ছবি দেখা গিয়েছিল,তারই অনুরণন কলকাতার বর্ষামুখর দিনেও।          

বেঙ্গালুরুতে একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরিকে। যে ছবি নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্যের কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব। দুই দলকেই বলতে হচ্ছে, বেঙ্গালুরুর বৈঠক জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা। বাংলায় আলাদা লড়়াই হবে। যদিও বাংলা-দিল্লি আলাদা নীতির পক্ষে নন, তা শুরু থেকে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন। একুশের জুলাইয়ের মঞ্চেও মমতা 'জাতীয় নেত্রী'র ভূমিকাই পালন করলেন। কংগ্রেসের নামই মুখে আনলেন না। আর সিপিএম-কে নিয়ে যতটা বললেন তা না বলারই শামিল।  

সিপিএমকে কী বললেন মমতা? পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন,'সিপিএমের বন্ধুরা মমতা ব্যানার্জি চিরকাল আপনাদের অ্যালার্জি। বুদ্ধদেববাবুর আমলে ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৮৯ জন খুন হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে খালি নির্বাচনের দিনই মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন। রাজনৈতিক পঞ্চায়েত আমরা তৈরি করিনি। সিপিএমের আমলে তৈরি। সেটা আমরা বহন করে নিয়ে চলেছি।'

বিজেপিকে সরানোই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করেছেন, তাঁর ক্ষমতার ইপ্সা নেই। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠানোই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য়। মমতার কথায়,'আমরা ইন্ডিয়া নামে এনক্লুসিভ জোট তৈরি করেছি। সবটাই ইন্ডিয়ার ব্যানারে হবে। আমরা চেয়ারকে কেয়ার করি না। কোনও চেয়ার চাই না। আমরা চাই, দেশ থেকে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বিদায় নিক। বিজেপিকে আজ সহ্য করা যাচ্ছে না। সব সীমা লঙ্ঘন করে দিয়েছে।' 

Advertisement

এ দিন মমতার ভাষণের ছত্রে ছত্রে বিজেপিকে নিশানা করেছেন।  মণিপুর, একশো দিনের কাজ ও ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। মানুষ মারার সওদাগর বলে আক্রণ করেছেন। মণিপুরের সঙ্গে বাংলার হিংসাকে একবন্ধনীতে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সমালোচনা করেছেন মমতা। তিনি বলেন,'বিজেপির প্ল্যান, পুলওয়ামার মতো সাজানো ঘটনায় নিজেরাই ফেক ভিডিও করে বাংলাকে অসম্মান করবে। মণিপুরের কথা বলতে গিয়ে বাংলা, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ের নাম করেছেন। মণিপুরের ঘটনায় এতটুকুও কষ্ট হয়নি আপনার, বাংলার দিকে আঙুল তুলছেন আপনি! মানুষ মারার সওদাগর আপনারা। ঘর ঘরে একটাই ডাক, মোদী যাক মোদী যাক।' 

POST A COMMENT
Advertisement