পুরমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম দলের নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। ২১ জুলাইয়ের শহিদ তর্পণে শর্টকাট নয়, ত্যাগের পথেই হাঁটতে হবে। তাঁর নির্দেশ, মেট্রো বা বাইকে নয়, পায়ে হেঁটে ধর্মতলার মিছিলে যোগ দিতে হবে। শুক্রবার 'ধর্মতলা চলো'র প্রস্তুতি সভায় তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন ফিরহাদ বলেন, '৩০ বছর হয়ে গেল ধর্মতলার কর্মসূচী। আমি, অরূপ ২৪-২৫ বছর ডোরিনা ক্রসিংয়ে ডিউটি করেছি। বছর ছ'য়েক হল মঞ্চে ডাক পড়ছে। এখন অনেককে দেখি, মিছিলে লোক না নিয়ে মেট্রো বা বাইকে চেপে মঞ্চের মুখে গিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। তাঁদের বলছি, শর্টকাট করলে রাজনৈতিক জীবনটাই শর্টকাট হয়ে যাবে। রাস্তায় নেমে কাজ করলে রাজনৈতিক জীবনটাও দীর্ঘ হবে।'
ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও দলের উঠতি নেতাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, '২১ জুলাই সকাল থেকেই ইস্ত্রি করা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে কয়েকজন উঠতি নেতা মঞ্চের প্রবেশপথে গিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। রীতিমতো লড়াই চালান, সুযোগ খোঁজেন কীভাবে মঞ্চে ওঠা যাবে। তাঁদের বলছি, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠুন, অনেক দূর যেতে পারবেন। লিফটে করে উপরে উঠলে লিফট খারাপ হলে আর নামতে পারবেন না। রাস্তায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরুন, মানুষই আপনাকে নেতা বানিয়ে দেবে।'
এদিন তৃণমূল ভবনেও দলের রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব বসে ২১ জুলাই সমাবেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দক্ষিণ কলকাতা থেকে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল করে ধর্মতলা যাওয়ার ঘোষণা করে জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, 'সকাল ১০টার মধ্যে সবাইকে হাজরা পৌঁছতে হবে। তার পর সবাই মিছিল করে ধর্মতলা যাব।'
সভায় ছিলেন সাংসদ মালা রায়, মন্ত্রী জাভেদ খান, বাবুল সুপ্রিয়, বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, রত্না চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মনীশ গুপ্ত, মেয়র পারিষদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসীম বসু, খালেক মোল্লা, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।