অনুব্রত-কাজলকে নিয়ে আলাদা বৈঠক বক্সী-ফিরহাদের, কী নির্দেশ?Birbhum TMC Group Clash: ২০২৫ সালের ২১ জুলাইয়ের জনসভাকে ঘিরে প্রস্তুত তৃণমূল। তার আগে কলকাতার ভবানীপুরে দলের রাজ্য সদর দপ্তরে বীরভূম জেলার দুই প্রভাবশালী নেতা—অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট) ও কাজল শেখকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ইতি টানতেই এই কৌশল।
বৈঠকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়, পারস্পরিক শত্রুতা বরদাস্ত করবে না দল। কারও এলাকায় দখলের রাজনীতি, একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলা—সব কিছুতেই ‘না’। দলের ক্ষতি হলে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও রক্ষা করবে না কাউকে। বীরভূমে শান্তি ফেরানোই মূল লক্ষ্য।
সম্প্রতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অডিও ভাইরাল হওয়ায় তৃণমূল পড়ে চাপে। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব সেই ঘটনার জন্য কেষ্টকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি এড়াতেই এবার ‘ঠান্ডা মাথা’য় চলার বার্তা দেওয়া হয় অনুব্রতকে।
সুত্রের খবর, কাজলের সঙ্গে অনুব্রতের বিবাদ ঘিরে নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। তৃণমূলের উত্তর কলকাতার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিরোধ মিটে গিয়েছে। এবার রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে অংশ নেবেন।” অন্যদিকে, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনুব্রতকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও এমন বিষয়ে আপোষ করেন না।”
২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে দলের ভাঙন আটকাতেই এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় ঐক্য আর সুশৃঙ্খল বার্তার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল।