Thakurpukur Pond Dispute: ঠাকুরপুকুরে পুকুর নিয়ে কাউন্সিলর–ব্যবসায়ী সংঘাত, TMC গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। ভোটের মুখে খোদ কলকাতার বুকে সেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি তৃণমূল শিবিরে।

Advertisement
ঠাকুরপুকুরে পুকুর নিয়ে কাউন্সিলর–ব্যবসায়ী সংঘাত, TMC গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ঠাকুরপুকুর বাজার সংলগ্ন একটি পুকুর ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক, যা এখন রাজনৈতিক রঙ নিয়েছে।
হাইলাইটস
  • শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। 
  • ভোটের মুখে খোদ কলকাতার বুকে সেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি তৃণমূল শিবিরে।

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। ভোটের মুখে খোদ কলকাতার বুকে সেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি তৃণমূল শিবিরে। দক্ষিণ কলকাতার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঠাকুরপুকুর বাজার সংলগ্ন একটি পুকুর ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক, যা এখন রাজনৈতিক রঙ নিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ঠাকুরপুকুর বাজারের পিছনে থাকা একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকার। তাঁর দাবি, বাজার এলাকার কিছু ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে পুকুরের জমি ভরাট করছেন। এতে পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই, পাশাপাশি এলাকার জলনিকাশির সমস্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনার কথাও জানিয়েছেন কাউন্সিলর।

তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে ঠাকুরপুকুর ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুকুর ভরাটের কোনও প্রশ্নই নেই। তাঁদের বক্তব্য, বাজারে প্রতিদিন প্রচুর আবর্জনা তৈরি হয়। সেই আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় পুকুরের ধারে একটি অংশে সাময়িক ভাবে ময়লা রাখা হয় মাত্র। ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, ভ্যাট এলাকায় আবর্জনা ফেলতে দেওয়া হয় না বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, এই টানাপোড়েনের জেরে পরিবেশ ও জনস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরানো হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভোটের আগে এই ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্ব শাসকদলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যদি নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ্যে আসে, তা বিরোধীদের হাত শক্ত করতে পারে। এখন দেখার, প্রশাসন ও দলীয় নেতৃত্ব এই বিতর্কে কী পদক্ষেপ নেয় এবং পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।

রিপোর্টার: সঞ্জয় কুমার মাঝি

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement