গত মঙ্গলবার ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। শহর থেকে জেলা সব জায়গাতেই চিত্রটা একইরকম। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতার কসবা এলাকা। ভোট মিটতেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকেই সংঘর্ষের খবর আসছে। কোথাও কোথাও খবর পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেরও। এমনই ঘটনা সামনে এসেছে ইন্দুপার্কে। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে শনিবারের পর রবিবার রাতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কসবা। রবিবার রাতে ইন্দুপার্কে বোমাবাজিরও খবর পাওয়া যায়, গুলিও চলে।
শনিবার রাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর রবিবার কাউন্সিলার লিপিকা মান্নার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান প্রাক্তন কাউন্সিলার সুশান্ত বোস এবং তাঁর গোষ্ঠী। সেই কারণেই গতকাল রাতে হামলা চলে বলে দাবি স্থানীয়দের। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত্রিবেলা রাজডাঙা ইন্দুপার্ক ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে দফায়-দফায় হামলা চালছে বলে অভিযোগ তোলেন এলাকার বাসিন্দারা। সেখানকার কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার দিকে আঙুল তোলেন তাঁরা। কারণ হিসাবে উঠে আসছে, এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা ভোটে খারাপ ফল করেছে। আর সেই দায় লিপিকার গোষ্ঠী ঠেলছে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের দিকে। এরপরই অভিযোগ ওঠে, লিপিকা মান্নার দলবল ওই এলাকায় গিয়ে দফায়-দফায় হামলা চালাচ্ছে। অভিযোগ, রাতে আলো নিভিয়ে বোমাবাজি করা হচ্ছে। মিলেছে গুলির শেল। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় কসবা থানায়।
১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের মধ্যো গোষ্ঠী কোন্দলের খবর আসছে। রাতের অন্ধকারে বোমা, গুলিও চলে। লিপিকা মান্নার অনুগামীদের বিরুদ্ধে বহিরাগত এনে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এরপর কসবায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খালি কার্তুজের খোল। যদিও হামলা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার তরফে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।