আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতারের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার নিয়ে যাঁরা প্রতিক্রিয়া চাইছেন তদন্ত সিবিআই করছে। সম্ভবত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়টি সন্দীপ ও তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই।’ সেই সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘কিছু অভিযোগ অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষেপ নিলে এখনকার অস্বস্তি এড়াতে পারল স্বাস্থ্যভবন।’ আর এবার সরাসরি জুনিয়র জাক্তারদের সমর্থন করে পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ।
রাত থাকলে ভোরও আসবে।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 3, 2024
সমর্থন। pic.twitter.com/CcbCYuUgvG
সোমবার দুপুর থেকেই লালবাজার থেকে আধ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আন্দোলনকারীরা বলে দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পিছু হটবেন না। এ সবের মধ্যে কুণাল ঘোষও সমাজমাধ্যমে চিকিৎসকদের এই অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “রাত থাকলে ভোরও আসে।”
এদিন কুণাল ঘোষ আরও একটি ট্যুইট করেছেন। আরজি কর কাণ্ডে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাটি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে! সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি দিয়ে কি নজর ঘোরানো হচ্ছে! সিবিআই-কে এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। ওই ভিডিয়োতে তিনি জানিয়েছেন, "সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে। সিবিআইয়ের কাছে অনুরোধ, আসল যে ঘটনা, খুন-ধর্ষণ, মেয়েটির উপর অত্যাচার। সেই তদন্তটা কোন জায়গায় দাড়িয়ে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র যে গ্রেফতার হয়েছে, সেটাও কলকাতা পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকে কোনও আপডেট নেই। মেয়েটিকে কারা ধর্ষণ করল, বা কে করল। সঞ্জয় একা ছিল, নাকি চক্র ছিল। সেই আপডেটটা তো করতে হবে।"
ঘটনার পরেই আমার প্রথম পোস্ট। সেই অবস্থানেই আছি।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 3, 2024
সন্দীপ গ্রেফতার দুর্নীতিতে। যা হবার হোক।
কিন্তু CBI, মূল ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের আপডেট কী? KP একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপর? একা, না চক্র? যত দেরি, তত ন্যায্য প্রতিবাদ, সঙ্গে তত গুজব, কুরাজনীতি। আসল তদন্ত কতদূর, জানানো হোক। https://t.co/cfjwFbUF6D
কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "তদন্ত-দুর্নীতি যা চলছে চলুক। এই আপডেট সিবিআইকে অবিলম্বে দিতে হবে। না হলে এই বিলম্বে, অনেক ধরনের ঘটনা ঘটছে। যা ঘটতে দেওয়া যায় না। অপপ্রচার, কুৎসা, ইত্যাদি চলছে। অনেকে ন্যায্য ভাবাবেগে আন্দোলন করছে। আমরা পরিষ্কার সিবিআই-কে বলতে চাই, এই গ্রেফতারি যেন নজর ঘোরানোর গ্রেফতারি না হয়।"