Justice Abhijit Ganguly: আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেবেন। তারপরই রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। এমনকী মঙ্গলবারই তিনি সব পরিষ্কার করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখন রাজ্য রাজনীতির আলোচনার হট টপিক। তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা রাজনৈতিক দল মত দিয়েছেন।
কেউ তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, কেউ বলছেন তিনি রাজনীতিতে এলে ভাল, বিজেপি, কংগ্রেস তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়েছে। সিপিএমের তরফে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। তৃণমূলের মধ্যে অবশ্য কেউ আক্রমণ করেছেন আবার ব্রাত্য বসুর মতো কেউ কেউ তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথাও বলেছেন। এর মধ্য বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি গোটাটাই বিজেপির নজর ঘোরানোর কৌশলের অঙ্গ বলে অভিযোগ করেছেন।
কী বললেন বাবুল?
বাবুল বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।" তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দাবি, "আজ ওঁনার স্বরূপটা প্রকাশ পেয়ে গেল।" এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান বলেও বাবুলের দাবি। কিন্তু সামনে তো লোকসভা ভোট। বাবুল বলেন, "দেখবেন উনি হয়ত লোকসভা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। ওঁনার মূল লক্ষ্য এটাই হবে যে উনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হবেন। আমি আপনাদের আজই বলে দিচ্ছি।"
এমনকী এদিন বাবুল দাবি করেন, আসানসোলের পবন সিংয়ের ঘটনায় বিজেপি অস্বস্তি এড়াতে নজর ঘোরানোর জন্যই রবিবার এই ঘোষণা করলেন। পরে হত তা, পবন সিংয়ের ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে আগেই করা হল। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের আগেই আলো কেড়ে নিতে অভিজিৎবাবু আগেভাগে সাংবাদিক বৈঠক করে দিলেন বলেও অভিযোগ বাবুলের।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের জন্য প্রথম দফায় যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি, তাতে আসানসোল থেকে ভোজপুরি গায়ক পবনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁর ‘বাঙালি বিদ্বেষ’ এবং ‘নারী বিদ্বেষ’ মনোভাব নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানাতে থাকে তৃণমূল। আক্রমণ শানায় বাংলা পক্ষও। এরপর অবশ্য পবন নাম প্রত্যাহার করে নেন।