সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের জনপ্রিয় যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তির আগে তাঁর ফেসবুক ওয়ালের পোস্ট ফের নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল।
আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাজ্যের শাসক দল তৃতীয় তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় বার্ষিকী। তার আগেই তৃণমূলের জনপ্রিয় যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের আরও একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে দানা বাঁধলো বিতর্ক। রবিবার দুপুর নিজের ওয়ালে দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি পোস্ট করেন। যেই পোস্টে তিনি লেখেন, ” গতবছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যের যে তৃণমূল টা ছিল সেটাই নিষ্কলুষ, ধান্দাবাজ বিহীন ,অকৃত্রিম প্রকৃত তৃণমূল । আপনারাই দলের সম্পদ’। পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ” তারপর তো বন্যা এল ! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! একটা দল বিপুলভাবে ফিরে এলে কিছু জায়গায় এটা হওয়া স্বাভাবিক । তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তাঁরা পেছনের সারিতে থাকবেন সেটাও বিশ্বাস করে দলের কর্মীরা”।
তাঁর এই পোষ্ট ঘিরে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। প্রসঙ্গত, দেবাংশু ভট্টাচার্য অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে কোন কর্মীর যোগদানকে প্রথম থেকেই ভালো চোখে দেখতেন না । বারবার এই ধরণের বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তবে এই পোস্ট করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেটি ডিলিট করে দেন তৃণমূল নেতা। তাঁর নতুন পোস্টে দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ''শেষ পোস্টের অর্থ হয়ত ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম।'' তাঁর আরও বক্তব্য, ''কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ, এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।''
তবে দেবাংশু দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করলেও তিনি যেভাবে তৃণমূল সরকরারে প্রথম ১০ বছর আর সংযুক্ত এক বছরের ব্যাখ্যা করেছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলকে তিনি ১০ বছর আর এক বছর দিয়ে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। দেবাংশুর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কাদের নিশানা করতে চেয়েছেন। এটা স্পষ্ট, ২০২১-এর পর যাঁরা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন, যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরকেই নিশানা করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে আগেও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন দেবাংশু। ফের একবার তিনি এই বিষয়ে সরব হলেন।