রবিবার টানটান ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারত। এই ম্যাচে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। ফাইনাল ম্যাচে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার পান রোহিত। টিম ইন্ডিয়ার জয়ের পর দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পোস্টের নীচে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে ‘খোঁচা’ দিয়ে একের পর এক কমেন্ট করতে থাকেন নেটাগরিকরা। রোহিত শর্মাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এবার সৌগত রায়কে আক্রমণ করলেন মদন মিত্রও।
রোহিতের হয়ে ব্যাট ধরতে গিয়ে আক্রমণকারীদের 'মূর্খের দল' বলে সম্বোধন করেন মদন মিত্র। সৌগত রায়কে তাঁর কটাক্ষ, “শিক্ষিত লোক যখন অশিক্ষিত, অসভ্য, অভদ্র, ইতরের মতো কথা বলে, তখন মানুষ কষ্ট পায়।” প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন সেমিফাইনালের আগে রোহিত শর্মাকে নিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে বিতর্কে জড়ান দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি সেই সময় রোহিতের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভারতের জয়ের পর রোহিতের প্রশংসা করলেও সৌগত রায় বলেন, “অবসর নিয়ে নেওয়া উচিত। আজকেও যেভাবে স্ট্যাম্প আউট হয়েছে, সেটা উচিত হয়নি। সবাই আশা করেছিল, ভাল খেলছে। সেঞ্চুরি করবে। সেটা হয়নি। ৭৬ করেছে। আজ ভাল খেলেছে।” রোহিতের অবসর নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় থাকেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ সৌগতর মন্তব্য নিয়ে মদন মিত্র বলেন, “অশিক্ষিত লোক যখন শিক্ষিতের মতো কথা বলে, তখন খারাপ লাগে না। কিন্তু, শিক্ষিত লোক যখন অশিক্ষিত, অসভ্য, অভদ্র, ইতরের মতো কথা বলে, তখন মানুষ কষ্ট পায়। সৌগতবাবু ঠিক কী বলতে চেয়েছেন, আমি বলতে পারব না। তবে আমি একসময় ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম। খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে হয়। এই ধরনের কথা গোটা টিমের মনোবলে আঘাত করতে পারে। যিনি এ ধরনের কথা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংসদে রয়েছেন। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। কাল যদি ঘটনাচক্রে রোহিত শর্মা খারাপ খেলত, তার অনেকটা দায়িত্ব সৌগত রায়কে নিতে হত।”
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের কথায়, "অনেকে মনে করেন রোহিত শর্মার সময় হয়ে এসেছে, তাকে বাদ দেওয়া উচিত, এমন লোকগুলো সম্পর্কে বেশি কিছু না বলাই ভাল। এরা মূর্খের দল! রোহিত শর্মা প্রমাণ করলেন যে তিনি ঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে জানেন।" এ সময় মদনকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর দলেরই সাংসদ সৌগত রায় রোহিত শর্মা সম্পর্কে নানাবিধ কটূ মন্তব্য করেছেন। যার জবাবে মদনের খোঁচা, "উনি কী কারণে বলেছেন সেটা বলতে পারব না! হতে পারে, উনি নিজে খেলতেন কিনা, বা দায়িত্ব নিতেন, সেটা দেখতে হবে।" একই সঙ্গে এও বলেন, "এই সব খেলোয়াড়দের বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভাল। এর অসাধু প্রভাব পড়তে পারে জনমানসে।" উল্লেখ্য, ভারতের জয়ের পরেই নাম না করে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে কটাক্ষ করেন তৃণমূলেরই আর এক নেতা কুণাল ঘোষও।