scorecardresearch
 

মালকোঁচা মেরে কী করে পরতে হয় ধুতি? শেখাবেন মদন মিত্র

মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ব্যাপার হল এই যে, আমরা বাঙালি পরম্পরার কথা বলছি। বাংলা, বাংলার কথা বলছি।

Advertisement
মদন মিত্র। ছবি সৌজন্য: টুইটার মদন মিত্র। ছবি সৌজন্য: টুইটার
হাইলাইটস
  • মালকোঁচা মেরে কী করে পরতে হয় ধুতি, শেখাবেন মদন মিত্র
  • আগস্ট মাস থেকে তরুণ প্রজন্মের মধ্য়ে তা চালু করতে চান
  • বাঙালির পরম্পরা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ কামারহাটির বিধায়কের

মালকোঁচা মেরে কী করে পরতে হয় ধুতি, শেখাবেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। আগস্ট মাস থেকে তরুণ প্রজন্মের মধ্য়ে তা চালু করতে চান। বাঙালির পরম্পরা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ কামারহাটির বিধায়ক (Kamarhati MLA Madan Mitra)-এর। হাজার যুবককে তা শেখাবেন তিনি। এমনই পরিকল্পনা রয়েছে।

পোশাক নিয়ে তাঁর কোনও ছুৎমার্গ নেই। সব রকমের পোশাকেই তাঁকে দেখা যায়। বাহারি পাঞ্জাবি থেকে শার্ট। বলা যেতে পারে সব কিছুই পরেন তিনি। তারপরও ধুতিতে ঝুঁকলেন কেন তিনি? আর তরুণদের কেন সেই কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra)?

বৃহস্পতিবার সে সবের ব্যাখ্য়া দিলেন। মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ব্যাপার হল এই যে, আমরা বাঙালি পরম্পরার কথা বলছি। বাংলা, বাংলার কথা বলছি। বাংলা মানে ধুতি-পাঞ্জাবি নয়। পায়জামা পাঞ্জাবি, শার্ট-প্য়ান্ট পরা মানুষজনও আছে।

মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ভোটে জিতলাম তার কারণ হল মানুষ বাংলাকে চেয়েছেন। পছন্দ করেছেন। কোনও বহিরাগত নন। তা তিনি বিহারী হতে পারেন, ইউপি-র হতে পারে, তবে বাংলার। বাংলার সংস্কৃতি বাংলায় চলবে। তাই এক হাজার ছেলেকে ধুতি পরা শেখাব।

অল্প বয়সী ছেলেরা যাতে ধুতি-পঞ্জাবি পরা শুরু করেন, তিনি সেই বার্তা দিতে চাইছেন। সেইসঙ্গে প্যান্ট-শার্ট কম পরো, সে বার্তাও রয়েছে। এদিন যেমন মদন মিত্র (Madan Mitra) ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের মাঝে হাজির হয়েছিলেন লাল-হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে চাপিয়ে। আর সেই ছবি যথারীতি ভাইরাল!

তবে এই ঘটনা প্রাদেশিকতার ছাপ ফেলবে না? না। সটান জবাব তাঁর। এবং কেন, তা-ও ব্যাখ্যা করলেন। মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, পোশাক, খাবার, সঙ্গীত, সাহিত্য- এগুলো কখনও প্রাদেশিকতার মধ্যে পড়ে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলায়। রবীন্দ্রনাথ বাঙালি, তাঁকে তো কেউ ইংরেজ বলে জানেন না।

Advertisement

একুশের ভোটে কামারহাটি থেকে জিতেছেন মদন মিত্র। এর আগে ২০১১ সালেও তিনি সেখান থেকে জিতেছিলেন। তবে ২০১৬ সালের ভোটে তিনি একই কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছিলেন। হেরে গেলেও নিজের কেন্দ্রে জনসংযোগে ভাঁটা পড়েনি। বিভিন্ন কর্মসূচিতে সেখানে থাকতেন। বলা যেতে পারে তারই ফল পেয়েছেন ভোটে।

 

Advertisement