scorecardresearch
 

'ভাট বকে হাউ হাউ করে, একটা মামলাও জিততে পারে না,' কল্যাণকে বেনজির আক্রমণ মদনের

তৃণমূলের অন্দরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের মধ্যে বাগযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। কল্যাণকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছে মদন। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণকে 'হেরো' বলেও কটাক্ষ করেছেন কামারহাটির বিধায়ক।

Advertisement
'ভাট বকে হাউ হাউ করে, একটা মামলাও জিততে পারে না,' কল্যাণকে বেনজির আক্রমণ মদনের 'ভাট বকে হাউ হাউ করে, একটা মামলাও জিততে পারে না,' কল্যাণকে বেনজির আক্রমণ মদনের
হাইলাইটস
  • তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণকে 'হেরো' বলেও কটাক্ষ করেছেন কামারহাটির বিধায়ক

তৃণমূলের অন্দরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের মধ্যে বাগযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। কল্যাণকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছে মদন। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণকে 'হেরো' বলেও কটাক্ষ করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে নিশানা করেন কল্যাণ। বলেন, 'তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে তো কোথাও দেখলাম না, এদের পাশে এসে দাঁড়াতে। আমি দুঃখিত এটা বলার জন্য। তৃণাঙ্কুর না কী একটা যেন নাম, তাঁকে তো কোথাও দেখলাম না এই ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়াতে৷ আমি দুঃখিত এই সব বলতে হচ্ছে, কিন্তু দলের তো এটা দেখা উচিত। দলের দেখা উচিত, এরা কেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকবেন? যারা ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে পারেন না। সময় এসেছে যখন তখন সব পর্যালোচনা করতে হবে৷ আজ তো আমাদের সব দেখতে হচ্ছে৷ একটা সংগঠন থাকবে, কিন্তু তা কোনও কাজ করবে না?'

তৃণাঙ্কুরকে টার্গেট করে কল্যাণের আরও বক্তব্য, 'বিপদে যদি ছাত্রদের পাশে না থাকেন, তাহলে ছাত্রদের সভাপতি কেন? মঞ্চে এসে মালা নেওয়ার জন্য? না নেতাদের পেছন পেছন ঘুরে বেড়ানোর জন্য? এই তো নেতা! এতগুলো ছেলে কলেজ থেকে সাসপেন্ড হয়ে গেল। টিএমসিপি করা সব ছেলে। আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির মুখে কোনও ভাষা নেই৷ কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি এটা ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে? সে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে৷ আমি ভাবতেই পারছি না। ছাত্র পরিষদের কোনও ছেলের কিছু হলে আমরা দৌড়ে যাই৷ আমরাই তো থাকি৷ আমি দুঃখিত। আমি দেখে কষ্ট পেয়েছি ৷ বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পাশে কেউ নেই৷ তারা আমার কাছে আসছে৷ কুণাল ঘোষ তাদের খেয়াল রেখেছে ৷ কুণাল আর আমি মিলে করছি৷ এই লড়াই আমরাই করব৷ দলের কোনও কর্মীর ওপর অন্যায় হতে দেব না যতক্ষণ আছি।'

Advertisement

কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে মদন টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, 'তৃণমূল কী করবে না করবে, কে কল্যণ বন্দ্যোপাধ্যায়? খায় না মাথায় দেয়? উল্টো পাল্টা ভাট বকে, হাউ হাউ করে। জীবনে মামলা জিততে পারে না। সব কেস গিয়ে ঘেঁটে দেয়। কলকাতা হাইকোর্টে যতবার দাঁড়িয়েছে হেরে চুর হয়ে গেছে। এমনও হয়েছিল যে কোর্টে কল্যাণ দাঁড়িয়েছিল বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে বসেছিলেন। তাতেও হেরে গিয়েছিল কল্যাণ। তৃণাঙ্কুর থাকবে কি থাকবে না সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবে। উনি কে?'

কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে এর আগে bangla.aajtak.in-কে তৃণাঙ্কুর বলেছিলেন, 'সময় হবে যখন প্রতিক্রিয়া দেব। আমি এই বিষয়টিকে এত গুরুত্বই দিচ্ছি না। দলকে কিছু এখনও জানায়নি। সবাই সব কিছু জানে। আমি ম্যাচিওর রাজনীতিবিদ, ছাত্র রাজনীতি করি। আমার এই সব ভাবার কিছু নেই। আমার সম্পর্কে কল্যাণবাবু কেন এই ধরনের কথা বললেন, সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবছি না। এই সব কথার গুরুত্বই দিচ্ছি না আমি।' 

Advertisement