TMC MLA Tapas Roy: সংসদকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে TMC-র তাপসের ছবি পোস্ট সুকান্তর, 'প্রমাণ করতে না পারলে...' হুঁশিয়ারি MLA-র

তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ললিতের ছবি এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ললিত ঝায়ের সঙ্গে নিজের ছবি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমুল বিধায়ক তাপস রায়ও।

Advertisement
সংসদকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে TMC-র তাপসের ছবি পোস্ট সুকান্তর, 'প্রমাণ করতে না পারলে...' হুঁশিয়ারি MLA-র সংসদকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে TMC-র তাপসের ছবি পোস্ট সুকান্তর
হাইলাইটস
  • গতকাল রাতেই কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে ললিত
  • তাঁকে জেরা করছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসাররা

সংসদে হানার মূলচক্রী ললিত ঝায়ের সঙ্গে আগেই নাম জড়িয়েছিল বাংলার। এবার রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কের সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করল বিজেপি। সাংসদকাণ্ডে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা তখন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ললিতের ছবি এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, 'আমাদের গণতন্ত্রের মন্দিরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের তাপস রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই প্রমাণই কি নেতার যোগসাজশের তদন্তের জন্য যথেষ্ট নয়?'

ললিত ঝায়ের সঙ্গে নিজের ছবি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমুল বিধায়ক তাপস রায়ও। তিনি বলেন 'সুকান্ত মজুমদার যদি এই ঘটনা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে ভাল। আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

গতকাল রাতেই কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে ললিত। তাঁকে জেরা করছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসাররা। জানা যাচ্ছে, ললিত থানায় আসার আগে ৪টি ফোন নষ্ট করে ফেলেছেন। তদন্তে জানা গেছে যে ললিত ঝা সেই চারজনের মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন যারা সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পুলিশ ললিতের কাছ থেকে কোনও মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি। সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে দিল্লি এসে আত্মসমর্পণের আগে ললিত সেখানে চারটি মোবাইল ফোনই নষ্ট করে ফেলেন। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ললিত কুচমনে গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর বন্ধু মহেশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।

ললিতকে রাতে থাকার জন্য একটি ঘর দিয়েছিলেন মহেশ। তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সংসদ ভবনে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালেই ললিত সব ফোন নষ্ট করে দেন। তবে, পুলিশ ললিতের কথায় পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না এবং প্রতিটি কোণ থেকে বিষয়টি তদন্ত করছে। এখন যে কোনও পরিস্থিতিতে চার অভিযুক্তের ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। স্পেশাল সেলের দল আজ মহেশ ও ললিতকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement