নির্দিষ্ট সময়েই ইডি দফতরে পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। বেলা ১১টার সময় অভিষেককে আসতে বলা হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তদন্তকারী সংস্থার অফিসে। এর আগেও অভিষেককে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
গত ছ’মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই অভিষেককে একাধিক বার তলব করেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ২০ মে অভিষেককে তলব করে সিবিআই। তখন তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি চলছিল। ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে আবার ইডি ডেকে পাঠায়। ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন অভিষেককে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। ৩ অক্টোবরও অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচি ছিল বলে তিনি হাজিরা দেননি। এরপর ৯ অক্টোবর সমন করা হয়। সেবারও হাজিরা দেননি। অভিষেক চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তিনি ইডির দফতরে যাবেন না।
পরে ৯ অক্টোবর তাঁকে আবার ইডি তলব করলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট সেই আবেদনের শুনানিতে জানিয়ে দিয়েছিল, আগে ইডির চাওয়া নথি জমা দেবেন অভিষেক। সেই নথিপত্রে ঘেঁটে সন্তুষ্ট না হলে তবেই ইডি তাঁকে ডেকে পাঠাতে পারে। ১০ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে গভীর রাতে সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে পাঠান অভিষেক। ইডি সূত্রে খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথির বিষয়ে আজ অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। নথির বিষয়েই আরও বিশদে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তলব প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের উপহার দিয়েছে ইডি মঙ্গলবার রাতে। তৃণমূল কংগ্রেসই হল বিজেপির মূল টার্গেট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ডাক, নবজোয়ার যখন জনজোয়ার হয়েছে তখন ডাক। এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত অবিজেপি দলগুলিকে ডাকা শুরু হয়েছে।' সেইসঙ্গে শশী পাঁজা আরও যোগ করেন ‘এটা এমন একটা ইনভেস্টিগেশন তার কোনও শেষ নেই। আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই যাবেন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তিনি জন প্রতিনিধি, আইটি ফাইল রয়েছে। সবটাই পাবলিক ডোমেনে রয়েছে। সামনে নির্বাচন। তার প্রচার থেকে যাতে বিরত থাকেন তার জন্য বিব্রত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। দলকে কালিমালিপ্ত করা,বাংলাকে খারাপ করা,নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই এটা করছে ওরা।’