আজ থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে সরকার পক্ষকে চাপে রাখতে আদানি ও মণিপুর ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধী শিবির। আর তার আগেই ইন্ডিয়া জোটকে বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, যারা ব্যর্থ হচ্ছেন, তাদের তো ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। ইগো থাকলে হবে না। ইন্ডিয়া জোট, সমস্ত বিরোধী দলের জোটকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা ব্যানার্জি।সারা ভারতবর্ষের মানুষ চাইছে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে সামনে রেখে লড়াই করতে। মমতা ব্যানার্জি ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোটের নেত্রী হিসেবে তুলে ধরার দাবি তুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ । তাঁর বক্তব্য, "কংগ্রেস-সহ সব বিরোধীদের বার্তা, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু নেই। মানুষের আশা, ভরসা, বিশ্বাস, সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ৬-০ ফল হয়েছে। আগামীতে বাংলায় বিরোধী দলনেতাও হবে না, ৩০ আসনও মিলবে না। গোটা ভারতে কংগ্রেস এবং অন্যরা যখন পিছিয়ে পড়েছে, অহং বিসর্জন দিয়ে, দলের অস্তিত্ব বজায় রেখে, বিরোধী জোটের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে আনা উচিত। এখানে ইগোর জায়গা নেই, ব্যর্থতা স্বীকার করে নিতে হবে। সকলকে আবেদন করব, মেনে নিন মমতা ছাড়া কিছু হবে না মমতাকে নিয়েই আগামী দিনে ভারত লড়াই করবে।"
প্রসঙ্গত, শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা উপনির্বাচনে সবকটি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়েও বেশ কিছু জায়গায় ভাল ফল করেছে তৃণমূল। ছয়টি আসনই নিজেদের ঝুলিতে পুরেছে, বিজেপি-র থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে মাদারিহাটও। জাতীয় স্তরে I.N.D.I.A শিবিরের অংশ সিপিএম এবং কংগ্রেস রাজ্যে খাতাই খুলতে পারেনি। আবার ভিন্ রাজ্যের নির্বাচনেও আশানুরূপ ফল হয়নি কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পওয়ার), সমাজবাদী পার্টির। আই এই আবহেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। কল্যাণ বাবু বলেছেন,' ভারত ব্যাপী কংগ্রেস যখন পিছিয়ে পড়ছে, অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধী দল যখন পিছিয়ে পড়ছে। তখন তাদের ইগো ছেড়ে দিয়ে। দলের অস্তিত্ব রেখে সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে ইন্ডিয়া জোট হিসেবে, বিরোধী জোট হিসেবে, সমস্ত জোটের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে নিয়ে আসা উচিত।'
তিনি আরও বলেন, এটা কোনও ইগোর ব্যাপার নয়। যারা ব্যর্থ হচ্ছেন, তাদের তো স্বীকার করতে হবে, তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। হরিয়ানায় ব্যর্থ হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতাগুলোকে মেনে নিতে হবে। তাহলে কে নেতৃত্ব দিতে পারেন? কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন? ভারতের মানুষ যাকে নেত্রী হিসেবে মনে করে। যার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ভারতবর্ষের মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তারা মনে করে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল যদি লড়াই করে। তাঁর দাবি, 'আগামী দিনে নিঃসন্দেহে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী হটে যাবে। এই বিষয়ে আমার কোনও দ্বিধা নেই। দ্বিধাহীন কণ্ঠে আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করবো, আপনারা মেনে নিন। মেনে নিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনে ভারতবর্ষে লড়াই করতে হবে।'