TMC On CBI Raids: 'অভিষেকের ধর্না হিট, নজর ঘোরাতে নামানো হল এজেন্সিকে', প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যায় সিবিআই। তখন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পাশাপাশি মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এছাড়াও রাজ্যের আরও ১০টি জায়গায় সিবিআই হানা দিয়েছে।

Advertisement
'অভিষেকের ধর্না হিট, নজর ঘোরাতে নামানো হল এজেন্সিকে', প্রতিক্রিয়া তৃণমূলেরফিরহাদ ও মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা।
হাইলাইটস
  • ফিরহাদ ও মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা।
  • রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দাবি তৃণমূলের।

রবিবার সকালেই তৃণমূলের দুই বিধায়কের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। দিন কয়েক আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। সিবিআই অভিযান নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না হিট। বিজেপি চাপে পড়ায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আসতে হয়েছে।' 

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যায় সিবিআই। তখন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পাশাপাশি মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এছাড়াও রাজ্যের আরও ১০টি জায়গায় সিবিআই হানা দিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।' তিনি যোগ করেন,'নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র। এই করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।'

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,'৫৫ বছর ধরে রাজনীতি করছি। সিবিআই ও ইডি একটা দলের নির্দেশে কাজ করছে এখন। সরকার আসে, সরকার যায়। আজ এনডিএ আছে, কাল অন্য দলের সরকার আসবে। সিবিআই-ইডি তো থাকবে। সিবিআই আর ইডি সমন পাঠালে কখনও আমাদের দলের কেউ এড়িয়ে যাননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। কর্মসূচির দিন যেতে পারেননি। দলের অবস্থান স্পষ্ট, তদন্তে আমরা সহযোগিতা করব।' 

সিবিআই ও ইডি-কে বিজেপি হাতের পুতুলের মতো কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। বলেন,'রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে পারছে না বিজেপি। তাই দুটো পুতুলকে ছেড়ে রেখেছে। নবজোয়ার কর্মসূচির সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল। সেভাবেই এই আন্দোলনের (বকেয়া আদায়ের দাবি) শক্তি ও গতি বাড়ছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে ঝুঁকতে হচ্ছে, সেজন্য সিবিআই-ইডিকে মন্ত্রীকে পিছনে লাগিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করার খেলা এটা। বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করবে, তাদের ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইডি-সিবিআই দুই খেলনাকে পাঠানো হচ্ছে।'

Advertisement

এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,'এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। আমরা চাই, তদন্তে গতি আসুক। হাইকোর্টও বারবার একই কথা বলছে। তদন্ত হলে সত্যি সামনে আসবে।'

আরও পড়ুন- 'কোনও অভিযানকে ভয় পাই না', CBI হানা নিয়ে পোস্ট ফিরহাদ কন্যার

POST A COMMENT
Advertisement