তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে গুরুত্বই দিতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। সাফ জানিয়ে দিলেন, সময় এলে সব বলবেন। আসলে কল্যাণ রীতিমতো তৃণাঙ্কুরের নাম নিয়ে বেনজির আক্রমণ করেছেন।
কল্যাণের বক্তব্যে কী বলছেন তৃণাঙ্কুর?
bangla.aajtak.in-কে ফোনে তৃণাঙ্কুর বললেন, 'সময় হবে যখন প্রতিক্রিয়া দেবো। আমি এই বিষয়টিকে এত গুরুত্বই দিচ্ছি না। দলকে কিছু এখনও জানায়নি। সবাই সব কিছু জানে। আমি ম্যাচিওর রাজনীতিবিদ, ছাত্র রাজনীতি করি। আমার এই সব ভাবার কিছু নেই। আমার সম্পর্কে কল্যাণবাবু কেন এই ধরনের কথা বললেন, সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবছি না। এই সব কথার গুরুত্বই দিচ্ছি না আমি।'
'তৃণাঙ্কুর না কী একটা যেন নাম!'
বিতর্কের শুরু ডোমজুড়ে তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে নিশানা করেন কল্যাণ। বলেন, 'তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে তো কোথাও দেখলাম না, এদের পাশে এসে দাঁড়াতে৷ আমি দুঃখিত এটা বলার জন্য। তৃণাঙ্কুর না কী একটা যেন নাম, তাকে তো কোথাও দেখলাম না এই ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়াতে ৷ আমি দুঃখিত এই সব বলতে হচ্ছে, কিন্তু দলের তো এটা দেখা উচিত। দলের দেখা উচিত, এরা কেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকবে? যারা ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে পারে না। সময় এসেছে যখন তখন সব পর্যালোচনা করতে হবে৷ আজ তো আমাদের সব দেখতে হচ্ছে ৷ একটা সংগঠন থাকবে, কিন্তু তা কোনও কাজ করবে না?'
'কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে?'
তৃণাঙ্কুরকে টার্গেট করে কল্যাণের আরও বক্তব্য, 'বিপদে যদি ছাত্রদের পাশে না থাকে, তাহলে ছাত্রদের সভাপতি কেন? মঞ্চে এসে মালা নেওয়ার জন্য? না নেতাদের পেছন পেছন ঘুরে বেড়ানোর জন্য? এই তো নেতা! এতগুলো ছেলে কলেজ থেকে সাসপেন্ড হয়ে গেল। টিএমসিপি করা সব ছেলে। আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির মুখে কোনও ভাষা নেই৷ কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি এটা ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে? সে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে৷ আমি ভাবতেই পারছি না। ছাত্র পরিষদের কোনও ছেলের কিছু হলে আমরা দৌড়ে যাই৷ আমরাই তো থাকি৷ আমি দুঃখিত। আমি দেখে কষ্ট পেয়েছি ৷ বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পাশে কেউ নেই৷ তারা আমার কাছে আসছে৷ কুণাল ঘোষ তাদের খেয়াল রেখেছে ৷ কুণাল আর আমি মিলে করছি৷ এই লড়াই আমরাই করব৷ দলের কোনও কর্মীর ওপর অন্যায় হতে দেব না যতক্ষণ আছি।'
কেন কল্যাণ নিশানা করলেন তৃণাঙ্কুরকে?
বস্তুত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে একাধিক ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়। তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের একাংশের অভিযোগ ছিল, থ্রেট কালচার নয়, আসলে তৃণমূল করে বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।