Dilip Ghoshরবিবার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান সফল বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘লক্ষাধিক নয়, গীতাপাঠে যোগ দিয়েছেন ৩ হাজার ৭৫০ জন। গীতাকে সবাই সম্মান করে। কিন্তু রাজনীতি করছে বিজেপি। ব্রিগেড কেন, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক ভাড়া করলেই হয়ে যেত। লোক হবে না, বুঝতে পেরেই আসেননি প্রধানমন্ত্রী।’ কুণাল ঘোষের আরও কটাক্ষ, ‘আমরাও গীতাকে শ্রদ্ধা করি। রাজনীতিতে না পেরেই কখনও রাম, কখনও গীতার আশ্রয় নেয় বিজেপি। এটা লোক দেখানো কর্মসূচি। রুটি, কাপড়, বাড়ি না দিতে পেরে এইসব করছে ওরা। অমিত শাহ এসে দেখে গিয়েছিলেন সভায় লোক হয়নি। ব্রিগেডে লোক ভরবে না জেনেই প্রধানমন্ত্রী আসেননি।’এই নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানেই কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, টিএমসির অনেক নেতারই মাথার ঠিক নেই, তারা অনেক কিছু কথাবার্তা বলে, তার কোন গুরুত্ব নেই। গীতাতে সব থেকে বেশি রাজনীতি আছে। গীতা কে বলেছেন? তিনি সবচেয়ে বড় পলিটিশিয়ান শ্রীকৃষ্ণ। বলেছিলেন কোথায়, খোলা মাঠে কুরুক্ষেত্রে। যারা গীতা সম্বন্ধে কিছুই জানেনা, গীতার জন্ম জানেনা, তারা এরকম বলতে পারেন।
স্বামীজিকে নিয়ে কুৎসিত রাজনীতি করছে বিজেপি, তাকে ধিক্কার জানাই, বলেছেন কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, সবকিছুর উত্তর হয় না। এখন কি আছে? টিএমসি পার্টিটাই ভেঙে যাওয়ার মতন অবস্থা। কংগ্রেস জানে না কে প্রধানমন্ত্রী হবে। তার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন। এই ধরনের পাগলামি চলছে , আর যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, ওরা ভেবেছিল মুসলিমদেরই খালি নামাজ হবে, আর সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নামাজ পড়বেন, কিন্তু হিন্দুরাও গীতা পাঠ করতে পারে, এটা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। প্রায় দেড় লক্ষ লোক একত্রিত হয়। তখন তাদের মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে, কী করবেন বুঝতে পারছেন না উল্টোপাল্টা বলছেন।
রবীন্দ্রনাথকেও আরএসএস পছন্দ করেন না, এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, কে কাকে পছন্দ করেন, না করেন উনি বলার কে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে উনি কে? উনি রবীন্দ্রনাথের ঠেকা নিয়ে আছেন নাকি। রবীন্দ্রনাথ কি কারো একার। নাকি বাপের সম্পত্তি। নাকি রবীন্দ্রনাথ সবার, সবাই তাকে তার মতন করে মানেন।
এদিন অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ। বলেন, নির্বাচন আসছে, আগে থেকে ঠিক ছিল যে ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট শেষ হলে আবার নেতারা আসবেন এখানে। সাংগঠনিক বিষয়ে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করবেন, আর সেই জন্যই আসছেন। আর এছাড়া অন্যান্য কিছু সামাজিক অনুষ্ঠান, যেমন বীরবল দিবসেও অংশগ্রহণ করবেন।