কলকাতা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন পূর্ণ চন্দ্র দাস এবং দেবদীপ মণ্ডল। দু'জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এখনও অধরা আর এক অভিযুক্ত।
গত রবিবার কলকাতা পুরসভা ভোটের দিন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রবি। অভিযোগ, পুর-নির্বাচনের দিন বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। মারধর করতে করতে রাস্তায় ফেলে খুলে নেওয়া হয় পরনের প্যান্ট। এরপর বিরোধী দলের প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় চলে মারধর। মারধরে আহত হন কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা। পরে এনআরএস মে়ডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করেন তিনি।
দলীয় প্রার্থীর মারধরের ভিডিওটি টুইট করে 'দিদিতন্ত্র' বলে শাসক দলকে নিশানা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
'Didicracy' in Bengal manifests its uncouth face where a Congress candidate is being stripped off and beaten black and blue in the full glare of public as he dared to contest the #KMCElection2021
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) December 20, 2021
সোমবার বড়তলা থানায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রবি সাহা। অভিযোগকারী কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, তৃণমূল কর্মী পূর্ণ চন্দ্র দাস, তাঁর ছেলে সৌরভ দাস, দীপ এবং আরও বেশ কিছু জন মিলে তাঁকে মারধর করেছে।
আরও পড়ুন-CPM-কে জিতিয়েছে TMC, বাংলাকে ইসলামিক স্টেট করার চক্রান্ত : সুকান্ত
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ১১৪ ধারায় মামলা রুজু করে বড়তলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে একাধিকবার তাঁদের বাড়িতে হানা দিলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই নিজের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে সেই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই ব্যাঙ্কশাল কোর্ট গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন দুই অভিযুক্ত পূর্ণচন্দ্র এবং দেবদীপ। তারা গোয়াবাগান স্ট্রিট এবং পেয়ারিমোহন শুর লেনের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, আর এক অভিযুক্তের নামের সঙ্গে কারও হদিশ পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি।