Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের অশান্তি, রাতে শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে আগুন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) অশান্তির রেশ যেন কিছুতেই কমছে না। শনিবার দিনভর উত্তেজনার পর রাতে নতুন করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।

Advertisement
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের অশান্তি, রাতে শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে আগুনযাদবপুরে অশান্তি।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) অশান্তির রেশ যেন কিছুতেই কমছে না।
  • শনিবার দিনভর উত্তেজনার পর রাতে নতুন করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) অশান্তির রেশ যেন কিছুতেই কমছে না। শনিবার দিনভর উত্তেজনার পর রাতে নতুন করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।

নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসতেই তৎপরতা
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা আগুনের শিখা দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং পরে দমকলকে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ইতিমধ্যেই শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযোগ, কার্যালয়ের সামনে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তৃণমূলপন্থীদের দাবি, বাম সমর্থিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যদিও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

উপাচার্য হেনস্থার অভিযোগ
অশান্তি এখানেই থেমে থাকেনি। রাতের দিকেই আহত ছাত্রদের দেখতে কেপিসি হাসপাতালে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়। টানাটানির জেরে তাঁর পাঞ্জাবিও ছিঁড়ে যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে উপাচার্য নিজেই বলেন, ‘‘একদল ছাত্রী আচমকা আমার দিকে তেড়ে আসে এবং ধাক্কা মারে। কয়েকজন আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়।’’ তবে সেসময় উপস্থিত ছাত্ররা উপাচার্যকে উদ্ধার করে দ্রুত গাড়িতে তুলে দেন।

দুপুরের ঘটনায় উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
এর আগেও শনিবার দুপুরে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বামপন্থী ছাত্ররা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শিক্ষামন্ত্রীর কোমরে ও হাতে চোট লাগে। পাশাপাশি, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে পড়ে গুরুতর আহত হন দুই ছাত্র। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরপর থেকেই যাদবপুর থানা চত্বরে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখায়, পাল্টা পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। রাতের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় আবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

Advertisement

পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


 

POST A COMMENT
Advertisement