Global Business Summit: শুক্রবার একাধিক শিল্পপতি এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সভাগৃহে বিশেষ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে. বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের প্রস্তুতি নিয়েই এদিন এই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি গিলস ডিয়াজ। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত রাজ্য। এখানে বিনিয়োগের আবহ রয়েছে যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বৈঠকের বিষয়ে। মমতা বলেন, "আজ সন্ধ্যায়, আমাদের 'সৌজন্য' বৈঠকে দেশের নেতৃস্থানীয় শিল্পপতি এবং ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন দেশের কর্মজীবনের কূটনীতিকদের সঙ্গে আসন্ন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট, ২০২৫ এর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সব প্রান্তেই বাংলায় বিনিয়োগের আগ্রহ পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবার আলিপুরের ‘সৌজন্য’ গৃহে বিজিবিএসের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। রাজ্যের ‘ব্র্যান্ডদূত’ হিসাবে বৈঠকে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তবে তিনি ছিলেন ‘শিল্পোদ্যোগী’ হিসাবেই। ছিলেন কলকাতাস্থিত একাধিক দেশের দূতাবাসের কনসাল জেনারেলরাও।
কিছুদিন আগেই মার্কিন মুলুকে বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। জো বাইডেনকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে বিজিবিএসের আগে এই আশ্বাস বাংলার জন্য আশাব্যাঞ্জক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাপান, জার্মানির মত দেশের প্রতিনিধিরা। তাঁরা রাজ্যে লগ্নির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পপতিদের মধ্যে ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, প্রসূন মুখোপাধ্যায়, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, ইমামি গোষ্ঠী। এদিন শিল্পপতিদের মধ্যে প্রথম বক্তা ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিনিয়োগ এবং কাজের জন্য সবথেকে ভাল একটা প্ল্যাটফর্ম। পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র করেই আমার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা রয়েছে’।