'ভোট চুরি' মন্তব্যে জোর বিতর্ক, CEC জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের ভাবনা বিরোধীদের

বিরোধীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অপসারণ প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, অনেক বিরোধী দলই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর 'ভোট চুরির' অভিযোগ এবং বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) বিরুদ্ধে বিরোধীদের অব্যাহত বিরোধিতার মধ্যে রবিবার নির্বাচন কমিশন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছে।

Advertisement
'ভোট চুরি' মন্তব্যে জোর বিতর্ক,  CEC জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের ভাবনা বিরোধীদের
হাইলাইটস
  • বিরোধীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অপসারণ প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধীরা।
  • সূত্রের খবর, অনেক বিরোধী দলই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

বিরোধীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অপসারণ প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, অনেক বিরোধী দলই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর 'ভোট চুরির' অভিযোগ এবং বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) বিরুদ্ধে বিরোধীদের অব্যাহত বিরোধিতার মধ্যে রবিবার নির্বাচন কমিশন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছে।

ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা নিয়ে বিরোধীদের অবস্থান
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অপসারণ প্রস্তাব আনার সম্ভাবনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন। তিনি বলেছেন যে, 'এই বিষয়ে দলের মধ্যে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি, তবে প্রয়োজনে কংগ্রেস নিয়ম অনুসারে অপসারণ প্রস্তাব আনতে পারে।'

কমিশনের অবস্থান
রবিবার নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, কমিশন বা ভোটাররা তাদের বিরুদ্ধে 'ভোট চুরির' মিথ্যে অভিযোগে ভীত নন। কমিশন জনগণকে সংবিধানের দেওয়া অধিকার ব্যবহার করার এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন যে, 'এই ধরনের অভিযোগ কমিশন বা ভোটারদের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। কমিশন নির্ভীক ও নিরপেক্ষভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কমিশনের কাজ হল রাজনীতিবিদদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সকল ভোটারের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।'

ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্ক
ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের জবাবে কমিশন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৮,৩৭০ জন ভোটার তাদের দাবি ও আপত্তি দাখিল করেছেন। এর জন্য ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এই পদক্ষেপের ফলে কোটি কোটি যোগ্য ভোটার নথিপত্রের অভাবে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা সিআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মোর্চা খুললেও বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে। আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া প্রায় ৬৫ লক্ষ নামের সম্পূর্ণ বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং বাদ দেওয়ার কারণও জানাতে হবে। কমিশন আদালতকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা এই নির্দেশ পালন করবে।

Advertisement

রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র চার মাস আগে এই বিতর্কিত ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনেও এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement