সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট।-ফাইল ছবি১৩ ডিসেম্বর যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলা এখনও রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ এবং টিকিট কেটে মেসিকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভের মধ্যেই এবার উঠে এল আরও গুরুতর অভিযোগ। নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করে অত্যন্ত চড়া দামে জল ও খাবার বিক্রি।
বিরোধীদের অভিযোগ, যে জলের বোতল সাধারণত ২০ টাকায় বিক্রি হয়, সেই বোতলই যুব ভারতীর ভেতরে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। শুধু জল নয়, খাবারও বিক্রি হয়েছে অস্বাভাবিক উচ্চ দামে। অনুষ্ঠান-পরবর্তী দিন, রবিবার সেই একই জল স্বাভাবিক দামে বিক্রির চেষ্টা করে টেন্ডারপ্রাপ্ত সংস্থা, যা থেকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অনুষ্ঠানের দিন এত বেশি দাম নেওয়া হল কীভাবে?
On 13 December, water bottles were sold at extremely inflated prices at Yuva Bharati Krirangan in violation of security protocols. Even now, acting under the instructions of the failed Chief Minister, the police have been unable to investigate the matter. In connection with this… pic.twitter.com/oSdADbubgh
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) December 16, 2025
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি পোস্ট করে অভিযোগ করেন, এই অবৈধ জল বিক্রির বরাত পেয়েছিলেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি, যিনি ‘বাবুসোনা’ নামে পরিচিত। তাঁর দাবি, এই বাবুসোনা রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা ভোগ করেন। অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে এই কারণে যে, ওই মন্ত্রীকেই সেদিন যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে এবং বারবার অযাচিতভাবে ছবি তোলার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছিল।
বিজেপির অভিযোগ অনুযায়ী, ‘বাবুসোনা’কে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে ওই মন্ত্রীর পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা লিমিটেডের বৈঠকেও তাঁর উপস্থিতির ছবি সামনে এসেছে। এসব উদাহরণ তুলে ধরে বিরোধীদের প্রশ্ন, রাজনৈতিক আশীর্বাদের জোরেই কি এই ব্যক্তি প্রশাসনিক তদন্তের বাইরে রয়েছেন?
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এত গুরুতর অভিযোগ সামনে আসার পরও এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোনও তদন্ত শুরু হয়নি বলে দাবি বিজেপির। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের একাংশ ও বিরোধী শিবিরের দাবি, অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্য প্রকাশ করতে হবে। ‘বাবুসোনা’ আসলে কে, কার পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি কাজ করেন এবং যুব ভারতীর ঘটনায় অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, এই সব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর না মিললে, রাজ্য প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে সন্দেহ আরও গভীর হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।