রাতভর লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা। জমা জলে দুর্ভোগে শহরবাসী। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও টানা বর্ষণে বানভাসি বিভিন্ন এলাকা। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে গভীর নিম্নচাপের কারণে আরও বৃষ্টি হতে পারে।
কোথায় কোথায় জল জমল?
জানা গিয়েছে, নাগাড়ে বৃষ্টির কারণে কলকাতার পিটিএস, নারকেলডাঙা মেন রোডে জল জমেছে। জলমগ্ন কৈখালি, পাতিপুকুর আন্ডারপাস, ভিআইপি রোড, লেকটাউন। সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়, উইপ্রো মোড় এলাকাও জলমগ্ন। জলের তলায় সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকাও। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড, সেক্টর ফাইভ থেকে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা জলমগ্ন। বিভিন্ন রাস্তায় জল জমায় যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত, মাইথন জলাধার থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। জলমগ্ন বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দির।
অন্য দিকে, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ৯ অগস্ট পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আজ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিমি। যার ফলে উত্তাল হবে সমুদ্র। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।