বিধানসভার উপাধ্যক্ষ হবেন আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্য সচেতক হবেন নির্মল ঘোষ। তিনি ক্য়াবিনেট র্যাঙ্ক পাবেন। সোমবার নবান্নে এই কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তিনি আরও জানান, উপমুখ্য সচেতক হবেন তাপস রায়। তিনি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। পার্থ ভৌমিককে রাষ্ট্রমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। অসীমা পাত্রও তাই। করিম চৌধুরি প্রবীণ নেতা। তাঁকে উপাধ্যক্ষ করা হতে পারে। যদি আইনে তা কোনও সমস্যা না হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক, কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ, ভূমি এবং ভূমি সংস্কার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন। এদিকে, এদিন মন্ত্রিসবার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন।
পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে কে কোন দফতর পেলেন দেখে নেওয়া যাক-
সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিল্প এবং বাণিজ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও তিনি সমালাবেন।
অমিত মিত্র অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। এবং পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যানও মন্ত্রী তিনি। সাধন পান্ডেকে দেওয়া হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্ব। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বন এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎস দফতর।
বঙ্কিম হাজরাকে করা হয়েছে সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী। মানস ভুঁইয়া পেয়েছেন জলসম্পদ এবং উন্নয়ন। সৌমেন মহাপাত্রকে দেওয়া হয়েছে সেচ এবং জলপথ পরিবহণ। মলয় ঘটককে আইন, বিচার এবং পূর্ত।
অরূপ বিশ্বাস বিদ্যুৎ, ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ। উজ্জ্বল বিশ্বাস সংশোধনাগার মন্ত্রী হলেন। অরূপ রায় সমবায়, রথীন ঘোষকে করা হয়েছে খাদ্য এবং সরবরাহ। ফিরহাদ হাকিমকে কা হয়েছে পরিবহনণএবং আবাসন মন্ত্রী। চন্দ্রনাথ সিনহাকে ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র মন্ত্রী করা হয়েছে।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আনা হয়েছে কৃষি দপ্তরে। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী হয়েছেন ব্রাত্য বসু। পুলক রায় জনসাস্থ্য কারিগরি, শশী পাঁজা নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ। গোলাম রব্বানী সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা, বিপ্লব মিত্রকে করা হয়েছে কৃষি বিপণন।
জাভেদ খান বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা, স্বপন দেবনাথ প্রাণিসম্পদ বিকাশ এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিকে করা হয়েছে জনশিক্ষা প্রসার এবং পাঠাগার।