এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে বেশ কয়েকদিন হল সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালান হল। জানা যাচ্ছে প্রচুর নথি-ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এসএসসি দফতরে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথি, ফাইল ও ৮ -১০ টি হার্ডডিক্স বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই ওই দফতর সিল করে দিয়েছিল। সূত্রের খবর, শনি ও রবিবার সিল খুলে সিবিআই অফিসাররা তল্লাশি চালান।এসএসসি দফতর থেকে পাওয়া তথ্য, প্রমাণাদি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে, জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে। আজ সকালে এসএসসি দফতরে যায় সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। সেখান থেকে প্রচুর ফাইল ও হার্ড ডিস্ক নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিজাম প্যালেসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসএসসি-দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডি-ও। চাকরির বিনিময়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের নথি ও বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন ইডি-র অফিসাররা। সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের যাবতীয় নথি চেয়ে চিঠিও দিয়েছিল ইডি। সিবিআইয়ের কাছে চাওয়া হয়েছে এফআইআরের ৪টি কপি ও যাবতীয় নথি।
ইডি অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, এসএসসি মামলায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকা কোথায় পৌঁছল? সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। কীভাবে এই মামলার রুজু করা হবে? কীভাবে এই মামলার তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? তা সিদ্ধান্ত নেবে ইডি। উল্লেখ্য, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য পার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাই, সিবিআইয়ের পাশাপাশি এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডিও। ইতিপূর্বে হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর এসএসসির দফতরের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকে যাতে কেউ অ্যাক্সেস নিয়ে কোনো প্রমাণ লোপাট করতে না পারে, সে কারণেই এসএসসি দপ্তরের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল সিবিআই। এসএসসির সার্ভার রুম যেমন সিল করে দেওয়া হয়, সেই সঙ্গে তার নিকটবর্তী আরও দুটি ঘরও সিল করে দেয় সিবিআই। বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে আচার্য সদন পাহারা দিচ্ছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।