আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এনিয়ে মুখ খোলেন। মমতার প্রশ্ন, 'যদি পূর্ব পরিকল্পিত কোনও ইন্সিডেন্ট বা অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাহলে সেটা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।' বিমান দুর্ঘটনায় পরে এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন মমতা। দুর্ঘটনার তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'একটা ইন্সিডেন্ট হতে পারে, অ্যাক্সিডেন্ট হতে পরে। আমি সেটার বিরোধিতা করছি না। তবে, যদি পূর্ব পরিকল্পিত কোনও ইন্সিডেন্ট বা অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাহলে সেটাকে নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। যে অ্যাক্সিডেন্ট আমদাবাদ-লন্ডনের বিমানে হয়েছে। তদন্ত করাচ্ছেন কাদের দিয়ে? আমলাদের দিয়ে।' এরপরেই মমতা বলেন, 'আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম। রেল দুর্ঘটনা হলে রেলওয়ে সেফটি রিভিউ কমিটি থাকত। তারা তদন্ত করত। সিভিল এভিয়েশনেও নিশ্চয় এমন একটা আছে। আজ পর্যন্ত একটা অফআইআর হয়নি। তার মানে কি মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই। শুধু রাজনীতির স্বার্থে রাজনীতি। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আপনি লড়ে যান। রাহুল গান্ধী ছাড়াও আমরা আরও পলিলিট্যাকাল পার্টি আছি। এটা মনে রাখবেন সবাই কিন্তু ইমারজেন্সির সাক্ষী ছিল না। তাদের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সংস্কৃতি মন্ত্রক একটা ফিল্ম তৈরি করেছে। সিলেবাস পাঠিয়ে তৈরি করেছে। সংবিধান পাল্টে দিয়েছে, কত নাম ছিল তা পাল্টে দিয়েছে। মনে রাখবেন যে সব ভারতীয়রা আপনাদের সাপোর্ট করে না।'
আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171 বিমানটি মেঘানিনগরের একটি মেডিকেল কলেজের হস্টেলের উপরে ভেঙে পড়েছিল। ২৪১ জন যাত্রী সহ প্রায় ২৭০ জন নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় কেবল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিশ্বাস কুমার বেঁচে যান। এই দুর্ঘটনায় গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানীও প্রাণ হারিয়েছেন।
আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর, ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। এই ধরনের বিমান ওড়ানোর আগে অতিরিক্ত সেফটি চেক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে, যারা তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।