রাজ্য থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আবহাওয়া দফতর নিশ্চিত করেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সরে গিয়েছে। সেইসঙ্গে শেষ হয়েছে টানা চার মাসের বর্ষার মরসুম। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে আবহাওয়াও মনোরম হতে শুরু করেছে। রাতে ও ভোরের দিকে গরমভাব অনেকটাই কম অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সম্পূর্ণভাবে সরে গেছে। বর্তমানে এই প্রত্যাহারের রেখা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপের মধ্য দিয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, মৌসুমি বায়ুর বিদায় ঘোষণার আগে তিনটি প্রধান শর্ত পূরণ হয়- টানা তিন থেকে চারদিন বৃষ্টিমুক্ত আবহাওয়া, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে আসা এবং বাতাসের দিক পরিবর্তন। বর্তমানে তিনটি শর্তই পূরণ হয়েছে। সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা এখন প্রায় ৫৬ শতাংশ, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০ শতাংশের উপরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুষ্ক উত্তর-পশ্চিমা হাওয়া এখন দক্ষিণবঙ্গের নিম্ন স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করেছে। আপাতত কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম জেলাগুলিতে আগামী সপ্তাহে তা নামতে পারে ২০-২১ ডিগ্রিতে। তবে কলকাতায় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নামতে এখনও কয়েকদিন সময় লাগবে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু জেলায় ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা দিতে পারে- বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। এর ফলে শীতের আগমনের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
রাজ্য থেকে মৌসুমি বায়ুর বিদায়ের নির্ধারিত সময় সাধারণত ১০ অক্টোবর। এবছর ১৩ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা বিদায় নিল, যা টানা তৃতীয়বারের মতো অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘটল। গত ১০ জুন বঙ্গোপসাগরে একটি আবহাওয়াগত সিস্টেম সক্রিয় থাকলেও তার প্রভাব বাংলায় বিশেষ পড়েনি।