চলতি বছরের সরস্বতী পুজো কাটছে গরমেই। প্রায় আড়াই দশক পর সরস্বতীপুজোয় শীত নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। ফলে, সরস্বতী পুজোর দিন সকালে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অনুভূত হয়।
রবিবার, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৮ থেকে ৯৩ শতাংশের মধ্যে ছিল। এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই অবস্থার প্রধান কারণ জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শীতের বিদায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সাধারণত, সরস্বতী পুজোর সময় শীতের আমেজ থাকে, এবং পাঞ্জাবি বা শাড়ির ওপর সোয়েটার বা জ্যাকেট পরা হয়। কিন্তু এবারের আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হবে না, তবে এরপর থেকে তাপমাত্রা দু'-তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়ও ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। সার্বিকভাবে, এবারের সরস্বতী পুজোতে উষ্ণ আবহাওয়া এবং ঘন কুয়াশার সংমিশ্রণ দেখা গেছে, যা প্রায় ২৫ বছর পর পুনরাবৃত্তি হলো।