জ্বালাপোড়া গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। চাঁদিফাটা রোদ আর আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিতে জেরবার রাজ্যের মানুষ। সোমবার সন্ধ্যায় খানিক ঝড়বৃষ্টির ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছিল বটে তবে মঙ্গলবার থেকে আবার সেই পুরনো ফর্মে। ফিরেছে গলদঘর্ম অবস্থা। বুধ সন্ধ্যা কি আদৌ হাওয়া বদল হবে? বৃষ্টির দেখা মিলবে? কী পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর?
এদিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। তবে জারি রয়েছে অস্বস্তিকর গরম। দিনভর প্যাচপ্যাচে ঘাম নিয়েই কাটবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে সন্ধ্যার পর বদল আসতে পারে আবহাওয়ায়। শোনা যেতে পারে মেঘের গর্জন। তবে বর্ষণ হবে কি না, তার কোনও গ্যারান্টি অবশ্য এখনও মেলেনি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৮ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঘোরাফেরা করেছে ৪৮ থেকে ৮৫ শতাংশের মাঝে। বৃষ্টি হয়নি।
তবে কলকাতায় না হলেও বুধে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলায় বেলা গড়াতে না গড়াতেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। সঙ্গে বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিংয়েও। উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও দিনাজপুর-মালদায় জারি থাকবে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি।
হাল্কা হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে তাপপ্রবাহও বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আর্দ্র গরম এবং অস্বস্তি থাকবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়বৃষ্টি বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়।
এদিকে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা ঢুকতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকের থেকে আগেই এবছর বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে দেশে। সম্ভাব্য তারিখ ২৭ মে। তবে বঙ্গেও বর্ষার দিন এগিয়ে আসবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানা যায়নি।