একদিকে যখন অতিবৃষ্টিতে বেহাল উত্তরবঙ্গ, তখন দক্ষিণবঙ্গে চাঁদিফাঁটা রোদ ও ভয়াবহ গরমে জেরবার মানুষ। তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখী পারদ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল ১৩-১৪ জুন থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। পূর্বাভাস মেলেনি। আবহাওয়া দফতর ফের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ক'য়েকদিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। গরমে জেরবার মানুষ এখন বৃষ্টির মুখ চেয়ে দিন গুনছে।
গত শুক্রবারই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে চলেছে। এরপরই ভ্যাপসা গরম থেকে মিলবে মুক্তি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী চার পাঁচ দিনে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ এবং দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে। যদিও মৌসুমি বায়ু ঢুকলেও তা আপাতত খুব একটা সক্রিয় হবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সোমবার ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বাঁকুড়ায়ও প্রবল গরম, অস্বস্তির জন্য জারি হলুদ সতর্কতা। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও গরমের ভোগান্তি চলবে।
আজ, সোমবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা বাড়বে। দক্ষিণে বর্ষা ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা কমবে। মঙ্গলবার থেকেই কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে৷ সোমবার কলকাতায় আংশিক মেঘলা থাকবে। শহরবাসীকে গরম এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে।
সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম।