গত দেড় মাসে ১৩ নম্বর নিম্নচাপ তৈরি হল বঙ্গোপসাগরে। উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বুধবার তা আরও ঘনীভূত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তার আগেই অবশ্য বুধবার ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। পুজোর মুখে বারবার নিম্নচাপ এবং তার জেরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্রমশ আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে মানুষের মনে। তবে কি এবারের পুজো ভাসাবে বৃষ্টি?
নিম্নচাপের গতিবিধি
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলার প্রায় প্রতিটা জেলাতেই বৃষ্টি হবে এই নিম্নচাপের প্রভাবে। তার মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি সইতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। উত্তাল হবে সমুদ্রও।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ওডিশার উপর দিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। পাশাপাশি একটি মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের বিকানির, চুরু, গুনা হয়ে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের উপর দিয়ে ওডিশার কেওনঝাড় হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এগিয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাব
অক্ষরেখা এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে সাত থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। প্রতিটা জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির প্রাবল্য বেশি থাকবে। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও।
উত্তরবঙ্গেও বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। ভারী বর্ষণ হতে পারে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। বুধবারের পর থেকে অবশ্য কিছুটা হলেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরের জেলাগুলিতে।