WB Assembly News: বিধানসভায় সাসপেন্ড এক BJP বিধায়ক, মমতার বক্তব্যের সময় চূড়ান্ত হইহট্টগোল

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখনই হঠাৎ প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। প্রতিবাদের জেরে বিধানসভার মধ্যেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে খবর। শেষ পর্যন্ত মার্শাল ডেকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওঁকে। 

Advertisement
বিধানসভায় সাসপেন্ড এক BJP বিধায়ক, মমতার বক্তব্যের সময় চূড়ান্ত হইহট্টগোলবিধানসভায় সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক।

সপ্তাহের শুরুতেই ফের উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা। সোমবার বিধানসভায় রীতিমতো উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখনই হঠাৎ প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। প্রতিবাদের জেরে বিধানসভার মধ্যেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে খবর। শেষ পর্যন্ত মার্শাল ডেকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওঁকে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

বিজেপির দাবি, ন্যায্য প্রশ্ন তুলতেই শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের বিধায়কদের। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, চাকরিহীন শিক্ষকদের বিষয়টি তুলে ধরে বিজেপি বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাবেরও দাবি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্পিকার জানান, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই বিধানসভায় এই নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।

একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন। এরপরেই মমতা বলেন, 'আপনি কী করেন, সব জানি।'

এরপরেই বিধানসভায় তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এরপর শঙ্কর ঘোষের উদ্দেশে বলেন, 'কাউন্সিলর ভোটেও তো আপনারা জিততে পারেন না। আগামী নির্বাচনে কী ফল হয় দেখুন।' এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

স্লোগান দিতে দিতেই ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গাড়ি বারান্দায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। সামনে ছিল তুলসী গাছ। তাঁদের অভিযোগ, ‘ন্যায্য প্রশ্ন তুললেই সাসপেন্ড করা হচ্ছে।’

শঙ্কর ঘোষ বলেন, 'অনৈতিকভাবে আমাদের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে শিখা চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজ্যে ১৫৫টি কমিশন এসেছে। সব দেখে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দেয়নি। রাজনৈতিক স্বার্থে বঞ্চনা করা হচ্ছে।'

প্রসঙ্গত, এর আগেও চলতি বছরের ১০ মার্চ বাজেট অধিবেশনের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেদিনও শঙ্কর ঘোষ ও মনোজ ওঁরাওঁকে মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা কক্ষ থেকে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement