সামনে বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। তার আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েও একাধিক তথ্য শেয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় এই সব ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কোনও হাসপাতাল রোগীকে ফেরাতে পারবে না। এছাড়াও হার্ট অপারেশন নিয়েও তথ্য শেয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, 'স্বাস্থ্যসাথী হল রাজ্য সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্প কাউকে হাসপাতাল ফিরিয়ে দিতে পারবে না।'
অনেকের হার্ট অপারেশন হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা ভাষণে তিনি বলেন, 'বাংলায় শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। প্রসূতিদের জন্য ট্রানজিট ক্যাম্প করেছি। ৩০ হাজার শিশুর বিনামূল্যে হার্ট অপারেশন করা হয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষকে চোখের আলোয় চশমা দেওয়া হয়েছে। ৪২ মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। সবই সাধারণ মানুষের জন্য।'
স্বনির্ভর প্রকল্পেও রাজ্য সরকার একাধিক করেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, বাম আমলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রকল্পে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর সরকার এখন ৯২ হাজার কোটি বিনিয়োগ করেছে। সরকার সবাইকে সাহায্য করছে। কোনও ভেদাভেদ দেখা হচ্ছে না। পুরুষ-মহিলা সবাইকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি নিজে দেখেছি লক্ষ লক্ষ মানুষ হস্তশিল্প মেলায়। আমাদের হাতের শিল্প আমাদের সম্পদ। যত খুচরো বিক্রি বাড়বে, অর্থনীতি তত শক্তিশালী হবে। এর জেরে আমাদের অর্থনৈতিক গ্রোথ বেড়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ায় আমরা দেশে এক নম্বর।
তবে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হলেও ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আবেশের বিয়ের অনুষ্ঠানে কার্শিয়াং যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭ ডিসেম্বর তিনি যেতে পারেন। নবান্ন সূত্রে এই খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেদিনের বিয়ে অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এরই মধ্যে আবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি-তে আসা প্রায় নিশ্চিত। কারণ হিসেবে ওই বিজেপি নেতা জানান, অভিষেক ও মমতার মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে। তাই নিজের অস্বিস্ত বাঁচাতে অভিষেক বিজেপি-কে যোগ দিতে পারেন অভিষেক। উদাহরণ দিয়ে সৌমিত্র বলেন, মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডে নিজের দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সরকার গড়েছেন। তেমনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও হতে পারে।