আরজি কর হাসপাতাল থেকে শুরু। এরপর একের এক মেডিক্যাল কলেজে গণইস্তফা দিচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবি পূরণের জন্য আমরণ অনশন চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। জুনিয়রদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সিনিয়ররাও।
ডাক্তারদের গণ-ইস্তফা চলছে
মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালে গণইস্তফা দেন ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। আজ অর্থাত্ বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফা দিতে শুরু করলেন। অন্যদিকে পুজোর সময় যাতে চিকিত্সায় কোনও ভাবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়, কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত।
কয়েকটি হাসপাতালে প্রায় শেষ হয়েছে কাজ
পুজোর সময় ডাক্তারদের আন্দোলনের পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব। অধ্যক্ষদের কাছে তিনি জানতে চান, রাত্তিরের সাথী-র কাজ কতদূর হয়েছে। কয়েকজন অধ্যক্ষ জানান, কয়েকটি হাসাতালে প্রায় শেষ হয়েছে কাজ। এছাড়াও হাসপাতালে সিসিটিভি, ওয়াশরুম, আলো, রেস্টরুমের বিষয়েও রিভিউ নিলেন পন্ত। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলির মধ্যে এই দাবিগুলিও রয়েছে।
গণইস্তফা নিয়ে কী বললেন মুখ্যসচিব?
ঘণ্টা খানেকের বৈঠকে মুখ্যসচিব প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ যেন শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও কোন হাসপাতালে কী কী সমস্যা চলছে, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট নেন তিনি। ওই বৈঠকে ছিল পূর্ত দফতরও। পূর্ত দফতরকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থার কাজে যেন কোনও ঢিলেমি না হয়। গণইস্তফার প্রসঙ্গে মনোজ পন্ত বলেন,'আমি কোনও গণইস্তফার চিঠি পাইনি। সংবাদ মাধ্যম থেকে দেখেছি। আমি খোঁজ নিয়েছিলাম স্বাস্থ্যভবন থেকেও। স্বাস্থ্যভবনেও এরকম কোনও কিছু আসেনি। এরকম যদি কোন চিঠি আসে আমাকে পাঠাতে বলেছি। '