scorecardresearch
 

Mamata Banerjee- Governor CV Ananda Bose: 'আমি বাধ্য হব রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে', চরম হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত চরমে। প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন তিনি। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। তা তিনি মেনে নেবেন না।

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিভি আনন্দ বোস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিভি আনন্দ বোস
হাইলাইটস
  • রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত চরমে
  • প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন তিনি

রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত চরমে। প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন তিনি। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। তা তিনি মেনে নেবেন না। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, 'কোনও বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক বাধা তৈরি করব। বেতন কে দেয়?'

শিক্ষক দিবসে মঙ্গলবার ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা চক্রান্ত চলছে। কিন্তু আমি তা করতে দেব না। যদি রাজ্যপাল মনে করেন তিনি সব করবেন, নির্বাচিত সরকারের কোনও দরকার নেই। আমরা নির্বাচিত। আমি রাজ্যপালকে বলেছি, আপনি নমিনেটেড পোস্ট। আপনি যদি মনে করেন মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও আপনি বজড়, বড় আপনি হতে পারেন নিশ্চয় অনেক কাজে, কিন্তু মনে রাখবেন সব নীতি ঠিক করে রাজ্য সরকার। কোনও কলেজ  বা বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনার কথামতো চলে, আমি কিন্তু অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। এখানে সমঝোতার কোনও জায়গা নেই। দেখি আপনি কোন কলেজের শিক্ষকদের মাইনে দেন। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাইনে দেন।' 

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যপাল যা ইচ্ছে তাই করছেন। সেই জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যসচিবদের নির্দেশও দেন। যাদবপুরের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'বিজেপির প্রেসিডেন্ট না কে তাঁকে যাদবপুরের ভাইস চ্যান্সেলর করে দেওয়া হল। আমরা এডুকেশনে নাক গলায় না। আজ গুরুজন চলে এসেছে তাঁরা যাঁরা বাংলাটাকে চেনে না। এটা আবার কী। আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা বিধানসভায় বিল পাশ করেছি। উনি একটাও বিল ফেরত পাঠান না। এটা ওঁর অধিকারে নেই। সংবিধান বলেছে, রাজ্য আর্থিক বিল ছাড়া অন্য যে কোনও বিল পাঠালে তা রাজ্যপালকে ফেরত পাঠাতে হয়। একবার ফেরক না পাঠালে, যদি দু বার পাঠানো হয় তাহলে তা আইন হয়ে যায়। এইটুকু আমরা পড়েছি। আশা করি এটা ভুল বলছি না। উনি একটাও বিল পাঠাচ্ছেন না।' 

আরও পড়ুন

Advertisement

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যে সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নেই, তাতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন। এরপর রাজভবনের তরফে থেকে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাতে যে মুখ্যমন্ত্রী আদৌ খুশি নন তা সাফ জানিয়ে দিলেন এদিন। 

 

Advertisement