আগামী ৫ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপলক্ষ, জি ২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা। জি ২০-র ৪টি অনুষ্ঠান বাংলায় হতে চলেছে বলে খবর। স্বাভাবিক ডাক পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ডাকে সাড়াও দিয়েছেন তিনি।
৫ ডিসেম্বর সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি২০-র আয়োজক দেশ ভারত। ওই আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি নিতেই এই বৈঠক। সেখানে হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে তাঁর বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। ওই বৈঠকের পর রাজস্থানের আজমেঢ় শরীফে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাম্প্রতিক রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মমতার উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। বিশেষ করে এমন একটা সময় যখন রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে বিজেপি। নেতানেত্রীরা ডিসেম্বরের হুমকি দিচ্ছেন। যা নিয়ে মমতা নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে সাবধান করেন। তিনি জানান, ডিসেম্বরের দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানোর অভিযোগও করেছেন মমতা। তবে এটাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এর পিছনে নরেন্দ্র মোদী। ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন,এটা অমিত শাহের কাজ। হায়দরাবাদে গিয়েও নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থেকেছেন। মমতার এই কৌশল নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,'নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে লাভ নেই। উনি দুর্নীতি পছন্দ করেন না।'
প্রসঙ্গত, সদ্য ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শেষ হয়েছে জি ২০ শীর্ষ বৈঠক। ১ ডিসেম্বর থেকে জি ২০ দেশসমূহের মিলিত গোষ্ঠীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে ভারত। এক বছর এই দায়িত্ব পালন করবে ভারত। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এ দেশে অনুষ্ঠিত হবে জি২০ বৈঠক। তারই প্রস্তুতিতে মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- ১৩ মিনিটে বেজিং, আড়াই মিনিটে ইসলামাবাদ, অগ্নি ৩-র আতঙ্কে পড়শিরা