শিক্ষারত্ন প্রদান অনুষ্ঠানে এসে একজন ছাত্রী সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন মেয়ের কথা বললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেই মেয়েটি তাঁর কাছেই থাকত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'একটা ছোট্ট মেয়ে আমাদের বাড়িতে থাকত। আমি এগুলোকে প্রোমোট করি। ও তপশিলি মেয়ে। আমাদের বাড়িতে থেকেই লেখাপড়ে করত। আমাদের বাড়িতে থাকতে থাকতেই ওর বিয়ে হল। তারপর ওর বরকে একটা চাকরি করে দিলাম। ওদের একটা মেয়ে হল। মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করল। তারপর মা-মেয়েতে ঝগড়া এই নিয়ে যে, মেয়ে কলেজে পড়বে না। আর মা বলছে পড়তেই হবে। যখন খুব ঝগড়া তখন আমি সেই মেয়েটিকে ডেকে বললাম তুমি কী নিয়ে পড়তে চাও। মেয়েটি উত্তরে বলল, আমি ফ্যাশন টেকনোলজি পড়তে চাই। আমি তাকে বললাম তাই পড়ো। তোমার যখন এটাই ইচ্ছা।'
আরও পড়ুন : 'ED-CBI দিয়ে TMC-র মুখ চুন হবে; কিন্তু BJP..', বোমা ফাটালেন তথাগত
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, 'ওর মা জানে না ফ্যাশন টেকনোলজি কী। তখন আমি ওর মেয়েটির মা'কে বললাম, শোন দুর্গাপুরে আহোরণ বলে একটা ফ্যাশন টেকনোলজি তৈরি করেছি। আমরাই করেছিলাম। টুরিজম থেকে করা হয়েছিল। তৈরির সময় বলা হয়েছিল জয়েন্টে পাশ না করলে ভর্তি হওয়া হবে না। আমি তখন তাদের বললাম সবাই তো জয়েন্ট দেয় না। অনেকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করে। তারা কেন ভর্তির সুযোগ পাবে না? এসব কোরো না। যার যেটাতে আগ্রহ আছে। তাকে সেটা করতে দাও।'
'এবার সেই মেয়েটা সেখানে ভর্তি হল। ২ বছর পর কোর্স শেষ করল। এখন ও আমেরিকাতে রিসেপশনে কাজ করার জন্য। ওখানে ও ৩ লাখ টাকা মাইনে পাবে। কিন্তু, একবারও এরা বুঝতে পারছে না। এখানে ২৫ হাজারের যে মূল্য ওখানে ৩ লাখের মূল্য কী?'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ছেলে-মেয়েরা বাইরে যাক তাতে আপত্তি নেই আমাদের। তবে ছেলে-মেয়েরা বাংলায় থাকুক। এটা আমরা চাই। এখানে কাজ নেই। সেটা আমরা বিশ্বাস করি না। বাইরে যাবেন কেন ?