অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী করার দাবি করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। একের পর এক ও দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য তাঁকে শোকজও করেছে দল। এবার ভরতপুরের সেই বিধায়ককে বিধানসভার মধ্যেই ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিধানসভার ভিতরেই হুমায়ুনকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি হুমায়ুনকে লক্ষ্য করে বলেন, 'এত কথা কেন বলো? বেশি বলো না?' এরপর হুমায়ুন কবীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরেও যান। সেখানেও তাঁকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হুমায়ুনকে দেখেই বলেন, 'আগে শোকজের জবাব দাও।'
প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে বিতর্ক চলছে। এর সূত্রপাত তাঁর মন্তব্য ঘিরে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উচিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপমুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী করা, এই মন্তব্য করেছিলেন হুমায়ুন। কেন করা উচিত, তার ব্যাখাও দিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স বাড়ছে। তাই এখন থেকে দায়িত্ব অভিষেককে দিলে তাঁর দায়িত্ব কিছুটা লাঘব হবে।
এরপর তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর আরও বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন হুমায়ুন। অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করে বসেন তিনি। এরপর বুধবার তাঁকে শোকজ করে তৃণমূল কংগ্রেস। নিরাপত্তাতেও কাটছাঁট করা হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার হুমায়ুনকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী।
হুমায়ুন কবীর সেদিন আরও বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী করা হলে পুলিশ আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ থাকবে। তিনি আরও দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে কিছু নেতা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শোকজ করা হয় তাঁকে। সেই শোকজেবর জবাব তিনদিনের মধ্যে দিতে হবে হুমায়ুনকে।