২০২২ সালের চার মাস হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম মাসও অর্ধেকের পথে। নতুন আর্থিক বছরেরও এক মাস অতিক্রান্ত। কিন্তু এই সময়ে বাংলার বেশি কিছু জেলায় একশো দিনের কাজ বাবদ বরাদ্দ আসেনি দিল্লির থেকে। নবান্নে কান পাতলে এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। । ফলে বহু ক্ষেত্রেই মজুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে শ্রমিকদের। আর এই আবহেই রাজ্যের শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, গত চার মাস ধরেই কেন্দ্র এই মজুরির টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে। টাকা না এ রাজ্যের গ্রামে থাকা দরিদ্র মানুষ অসুবিধায় পড়ছেন। কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তহবিলের টাকাও বকেয়া রেখে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের ঠিকানায় এই চিঠি পাঠান হয়েছে। চিঠিতে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি কবে দেওয়া হবে তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মোদীর কাছে মমতা আর্জি জানিয়েছেন, যাতে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
মোদীকে লেখা চিঠিতে পিএম আবাস যোজনা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা । তিনি লিখেছেন, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছর থেকে এ রাজ্যে ওই প্রকল্পে ৩২ লাখ বাড়ি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলির মধ্যে এই ব্যাপারে প্রথম স্থানে আছে। তা সত্ত্বেও ওই প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দিচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, হাওড়া-সহ একাধিক দেলায় একশো দিনের কাজ বাবদ বরাদ্দ আসেনি দিল্লির কাছ থেকে। ফলে বহু ক্ষেত্রেই মজুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে শ্রমিকদের। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরে গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে কেন্দ্র কোনও বরাদ্দ পাঠায়নি। এই প্রকল্পে গোটা রাজ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে বলে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর। প্রশাসন সূত্রে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের বরাদ্দ দিল্লি থেকে সরাসরি জেলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসে। গত পাঁচ মাস ধরে সেই টাকা আসেনি।