মে মাসের শেষে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এই খবর ঠিক নয়, জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসংক্রান্ত খবর করা নিয়ে ক্ষুব্ধ আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেছেন, 'আবহাওয়া দফতর কোনও মিডিয়াকে বলিনি যে, বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার মেয়রের ওএসডি একটা ক্লিপ পাঠিয়েছে। যেখানে ঘূর্ণিঝড়ের একটি নাম রয়েছে। ধেয়ে আসছে বলা হয়েছে। আমরা একবারও বলিনি। শুধু বলেছি, গত সপ্তাহে একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। খুবই কম সম্ভাবনা ছিল নিম্নচাপের। মাত্র ৩০ শতাংশ। কিন্তু তার মানে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে, এটা বলা হয়নি। আমরা যেটা বলছি, সেটাই প্রচার করুন। না হলে আমরা সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলা বন্ধ করে দেব। আমাদের বিবৃতির ওপর আমাদের চাকরি নির্ভর করে।'
উল্লেখ্য, দিনদু'য়েক ধরে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর করা হচ্ছিল যে, মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মে মাসেই বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ২৫ মে সন্ধের পর পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কত থাকবে, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কতটা, তা ঘিরে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু এই খবর অসত্য বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, ফের তাপপ্রবাহ ফিরে এল। ইতিমধ্যেই পূর্ব, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ভারী সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। তীব্র গরম ফিরে এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির কোনও দেখা নেই।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১৮ মে পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। বৃহস্পতিবার থেকেই এই রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে পশ্চিম রাজস্থান, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, কোঙ্কন এবং গোয়ায়। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, দক্ষিণ হরিয়ানা এবং বিহারে ১৬-১৮ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে। অন্য দিকে, মধ্যপ্রদেশ এবং পূর্ব রাজস্থানে ১৭-১৮ মে পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।